ঘাটাল, 5 অগস্ট : জমা জল নামতে শুরু করলেও ভোগান্তি মেটেনি ঘাটালবাসীর ৷ এখনও বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে রয়েছে কয়েক ফুট জলের নীচে ৷ তার মধ্যেই উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF) ৷ স্পিড বোটে করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জলবন্দি মানুষকে ৷
আরও পড়ুন :জল ছেড়ে রাজ্যকে বিপদে ফেলতে চাইছে কেন্দ্র : শিউলি সাহা
গত কয়েক দিনের বৃষ্টি এবং নদীবাঁধের জল ছাড়ার জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমা ৷ জলবন্দি এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে দাসপুর ও চন্দ্রকোণা ৷ এবার নতুন করে জলমগ্ন হয়েছে কেশপুর ৷ কেশপুরের 15টি অঞ্চলের মধ্যে 14টি অঞ্চলই প্লাবিত ৷ এরই মধ্যে ঘাটালের জল নামতে শুরু করেছে ৷ তবে বুধবার থেকে ফের বৃষ্টি হওয়ায় নতুন করে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে ৷ প্লাবিত এলাকাগুলিতে নামানো হয়েছে নৌকা ৷ দোকান, বাজার সবই চলছে নৌকায় ৷
অন্যদিকে, ঘাটালের জলবন্দি এলাকার বাসিন্দাদের ভরসা জুগিয়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা ৷ স্পিড বোট নিয়ে দুর্গতদের উদ্ধার ও ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন তাঁরা ৷ ঘাটাল পৌরসভা ও ঘাটাল ব্লকের জলবন্দি গ্রামগুলিতে দুর্গতদের বাড়ি বাড়ি স্পিড বোট নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন বাহিনীর প্রতিনিধিরা ৷ পানীয় জল থেকে শুকনো খাবার, সবই মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন তাঁরা ৷ এমনকী, মৃতদেহ উদ্ধারের কাজেও এনআরএফ-ই একমাত্র অবলম্বন বাসিন্দাদের ৷ বৃহস্পতিবারও ঘাটালের জলবন্দি অজবনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিদাসপুর গ্রাম থেকে জহর মান্না (85) নামে এক বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করে এনআরএফ ৷ বুধবার রাতে বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি ৷
আরও পড়ুন :PM on WB Flood : রাজ্যে বন্যায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
এদিকে, ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোণা, কেশপুর, গড়বেতা, শালবনী-সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে নেমেছেন জেলার চার মন্ত্রী ৷ তাঁদের নেতৃত্বে রয়েছেন মানস ভুঁইঞা ৷ সঙ্গে রয়েছেন শিউলি সাহা, হুমায়ুন কবীর ও শ্রীকান্ত মাহাত ৷ প্রসঙ্গত, এর আগে ঘাটাল পরিদর্শন করে গিয়েছেন সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারী ৷ এদিনই নৌকায় চড়ে জলমগ্ন এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন বিধায়ক, মন্ত্রীরা ৷