মেদিনীপুর, 1 সেপ্টেম্বর: মেদিনীপুর শহরের গোলাপিচকে রহস্যমৃত্যু ঘটল এক যুবকের । যদিও ছেলের মৃত্যুর জন্য বৌমাকে দায়ী করেছেন ওই যুবকের মা । অভিযোগ, পুত্রবধূর প্রণয়ঘটিত কারণে বাধা দেওয়ার জন্যই তাঁর ছেলেকে খুন হতে হয়েছে । এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেদিনীপুরে ৷ ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ।
মাত্র 32 বছরের যুবকের মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে জেলাশহর মেদিনীপুরে । ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহর লাগোয়া গুড়গুড়িপাল থানার গোলাপিচক এলাকায় । মৃতের নাম বাপ্পাদিত্য সাঁতরা । মৃতের মা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তাঁর পুত্রবধূর দিকে ৷ তিনি বলেন, "বউমার অন্য সম্পর্ক নিয়ে প্রায়ই অশান্তি হত । এই কথা জানাজানি হতেই ঠান্ডা মাথায় আমার ছেলেকে খুন করেছে বউমা ।"
ঘটনাটি ঘটে সোমবার । ঘটনাস্থলে গিয়ে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে । বাপ্পাদিত্যর দেহ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িতে পৌঁছলে শোকে ভেঙে পড়েন পরিবার-পরিজনেরা । দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা ।
আরও পড়ুন:Mamata Banerjee : শিল্প প্রতিষ্ঠা ও কর্মসংস্থানে জোর, পানাগড়ে কল্পতরু মমতা
বাপ্পাদিত্য পেশায় গাড়ির চালক ছিলেন । দেড় বছরের সন্তানকে নিয়ে সোমবার স্বামী-স্ত্রী বাড়িতেই ছিলেন । বাপ্পাদিত্যর মা গিয়েছিলেন তাঁর বাপের বাড়ি । বিকেলের দিকে প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করেন বাপ্পাদিত্যের স্ত্রী । প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন, খাটের উপর শুয়ে আছেন বাপ্পাদিত্য । বিছানায় পড়ে আছে লোহার রড, বটি ৷ আর নিচে পড়ে রয়েছে শাবল । সিলিং ফ্যানের সঙ্গে শাড়ি বাঁধা রয়েছে । পরে জানা যায়, মৃত্যু হয়েছে বাপ্পাদিত্যের ।