মৌপাল, 9 এপ্রিল:ভোট আসে ভোট যায় ৷ কিন্তু জলের সমস্যায় পড়ে থাকেন শালবনির মৌপালের বাসিন্দারা । তাই গরম পড়তেই সেই জলের সমস্যা সৃষ্টি হতে অবরোধে নামলেন তাঁরা । অবিলম্বে সমস্যা সমাধানের দাবি জানানো হল ।
প্রান্তিক মানুষের জীবন-ধারনের প্রাথমিক সমস্যাগুলি সমস্যাই থেকে যায় । অভিযোগ, ভোটের আগে নেতাদের মুখে কথার ফুলঝুড়ি, আশ্বাস ৷ ভোটের পর নেতাদের আর দেখা পাওয়া যায় না । জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের (শালবনী ব্লকের) অন্তর্গত মৌপালের বাসিন্দাদের ওই একই অবস্থা । জলের দীর্ঘদিনের সমস্যা । তাঁদের মুখ থেকে আজ সাতসকালে এমনই হতাশাভরা বক্তব্য বেরিয়ে এল । এক বাসিন্দা বললেন, "5-6 মাস ধরে আমাদের এলাকার শতাধিক গ্রামবাসী তীব্র জলকষ্টে আছি । আগে একটা সজলধারা প্রকল্পের জল আমরা পেতাম । আজ 5-6 মাস ধরে তা খারাপ হয়ে পড়ে আছে । দূর-দূরান্ত থেকে জল নিয়ে আসতে হচ্ছে । শুধু পানীয় জলই নয়, দৈনন্দিন ব্যবহারের জলটুকুও পাওয়া যাচ্ছে না । এতজন এলাকাবাসী একসঙ্গে সমস্যায় পড়েছি । তাও প্রশাসনের ভ্রুক্ষেপ নেই ।" এ দিকে গরম পড়তেই নিজেদের কুয়োগুলিও শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে ! ভোটের আগে নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ক্ষমতায় ফিরলে দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে কিন্তু ভোট যেতেই আর নেতা-আধিকারিকদের দেখা নেই বলে অভিযোগ । তাই বাধ্য হয়ে আজ সকাল 8 থেকে এলাকাবাসীরা অবরোধে সামিল হয়েছেন । বিশেষত বাড়ির মহিলারা ভাদুতলা - পিড়াকাটা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন ৷
প্রায় ঘণ্টাদুয়েক অবরোধ চলার পর পিড়াকাটা ফাঁড়ি থেকে পুলিশ আধিকারিকরা গিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সমস্যা সমাধানের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্রুত আলোচনার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায় ।
প্রসঙ্গত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের মৌপাল, পিড়াকাটা শুধু নয়, জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকাতে গরম পড়লেই তীব্র জলকষ্ট দেখা দেয় । সারা বছর ধরে পানীয় জলের সমস্যা তো বিভিন্ন এলাকাতে আছেই, গরমের সময়ে জঙ্গলমহলের এই সমস্ত রুক্ষ-শুষ্ক এলাকাতে দৈনন্দিন ব্যবহারের জলটুকুও পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের ।