চন্দ্রকোনা, 28 ফেব্রুয়ারি:পঞ্চায়েত অফিসে তখন মিটিং চলছিল ৷ হঠাৎ একটি মেয়ে হাউমাউ করে দরজার সামনে এসে কাঁদতে থাকে ৷ পঞ্চায়েত প্রধান জিজ্ঞাসা করতেই এক নিশ্বাঃসে নাবালিকা বলে চলে, "কাকু আমাকে বাঁচাও । বাবা-মা জোর করে আমার বিয়ে দিতে চাইছে । আমি নবম শ্রেণিতে পড়ি । আমি লেখাপড়া করতে চাই । আমাকে বাবা-মা ও পাড়া প্রতিবেশীরা বলছে আজ হলেও বিয়ে করতে হবে, দু-বছর পরে হলেও করতে হবে । বিয়ে করতে রাজি না-হওয়ায় বাবা-মা বলছে বিয়ে না-করলে বিষ খেয়ে বা গলায় দড়ি নিয়ে জঙ্গলে গিয়ে মরবি যা ৷ আমি এখন কী করব কাকু ?"
নাবালিকার এহেন কথা শুনে একমুহূর্তও দেরি করেননি পঞ্চায়েত প্রধান (Paschim Medinipur News)৷ তাকে আশ্বস্ত করেন স্কুলে ভর্তি ও পড়াশোনার সমস্ত খরচ নেওয়ার কথা বলে ৷ নাবালিকার বাবা-মাকে ডেকে পাঠান পঞ্চায়েত অফিসে ৷ মেয়ের বয়স 18 বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না বলে তাঁদের থেকে মুচলেকাও লিখিয়ে নেন পঞ্চায়েত প্রধান (Minor Girl Stopped her Marriage)। ঘটনার কথা জানান বিডিও এবং পুলিশকে। তবে এতেই ক্ষান্ত হননি তিনি ৷
মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যান নাবালিকার বাড়ি ৷ সে কেমন আছে খোঁজ নেন ৷ কথা বলেন গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে ৷ তাদেরও সচেতন করেন নাবালিকা বিয়ে বন্ধে সকলেই যাতে সজাগ হন । পরিবার-সহ পাড়া-পড়শিদেরও বলেন 18 বছর বয়স না-হওয়া পর্যন্ত মেয়ে ও 21 বছর না-হওয়ার পর্যন্ত ছেলের বিয়ে দেওয়া আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ ৷ ধরা পড়লে জেল ও জরিমানা নিশ্চিত ৷