পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : May 13, 2020, 11:31 PM IST

ETV Bharat / state

ভেলোর থেকে রাজ্যে ফিরলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা

আজ দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ বিশেষ ট্রেনে করে ভেলোর থেকে ফিরে আসে পরিযায়ী শ্রমিক, চিকিৎসা করাতে যাওয়া রোগী ও রোগীর আত্মীয় স্বজন । এই রাজ্য থেকে সারা বছরই ভেলোরে বহু মানুষ যান চিকিৎসা করাতে । সেই হিসেবেই লকডাউনের আগে জেলার বহু মানুষ গিয়েছিলেন চিকিৎসা করাতে । কিন্তু এরপর লকডাউন চালু হয়ে যাওয়ায় সমস্ত কিছু বন্ধের ফলে আর ফেরত আসতে পারেনি রাজ্যের মানুষেরা। এছাড়াও ভেলোরে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরাও আটকে যায়।দীর্ঘ উৎকণ্ঠার পর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে ট্রেন পরিষেবা চালু হয়।আর সেই স্পেশাল ট্রেনে করে ফিরলেন রাজ্যের মানুষজন।

vellore
পরিযায়ী শ্রমিক

খড়গপুর,13 মে : স্পেশাল ট্রেনে চেপে ভেলোরে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকেরা ফিরে এলেন । একইসঙ্গে ভেলোরে চিকিৎসা করাতে যাওয়া রোগী ও রোগীর আত্মীয় স্বজনদেরও একই সঙ্গে ফিরিয়ে আনা হলো।স্পেশাল ট্রেনে করে খড়গপুরে তাঁদের আনা হয় ।বিশেষ ট্রেনে আসা এইসব ট্রেনযাত্রীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে জেলা প্রশাসন।এদিন মোট 21 জেলার 1464 জন ফিরে আসে । এর মধ্যে মেদিনীপুর জেলার 200 জন আছেন ।


আজ দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ বিশেষ ট্রেনে করে ভেলোর থেকে ফিরে আসেন পরিযায়ী শ্রমিক, চিকিৎসা করাতে যাওয়া রোগী ও রোগীর আত্মীয় স্বজন । এই রাজ্য থেকে সারা বছরই ভেলোরে বহু মানুষ যান চিকিৎসা করাতে । সেই হিসেবেই লকডাউনের আগে জেলার বহু মানুষ গিয়েছিলেন চিকিৎসা করাতে । কিন্তু এরপর লকডাউন চালু হয়ে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় । ফলে আর ফেরত আসতে পারেননি সেখানে আটকে থাকা মানুষেরা। এছাড়াও ভেলোরে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরাও আটকে যান।দীর্ঘ উৎকণ্ঠার পর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে ট্রেন পরিষেবা চালু হয় ৷

সেই স্পেশাল ট্রেনে করে ফিরলেন রাজ্যের মানুষজন।এদিন খড়গপুর স্টেশনে ট্রেন পৌঁছালে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা,থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয় । বাসে করে করে তাঁদের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থাও করে জেলা প্রশাসন।প্রশাসনের তরফে তদারকিতে ছিলেন জেলার জেলাশাসক রেশমী কমল, পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার-সহ রেলের আধিকারিকরা।

রেলের এক আধিকারিক আদিত্য চৌধুরি বলেন, আমাদের এই বিশেষ ট্রেনের মাধ্যম উত্তরবঙ্গ সহ 21 টি জেলার মোট 1464 জনকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেন পৌঁছালে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও থার্মাল স্ক্রিনিং করে জেলায় প্রবেশ করানো হচ্ছে।যদি থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে কারও কোরোনা লক্ষণ ধরা পড়ে তখন তাঁকে কোয়ারানটিনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে । কিন্তু যাঁদের কোনও রকম সমস্যা নেই তাঁদেরকে সরাসরি ট্রেন থেকে নামানোর পর বাসে করে বিভিন্ন জেলায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ABOUT THE AUTHOR

...view details