মেদিনীপুর, 18 অক্টোবর: ডিজিটাল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল হচ্ছে মানুষজন । তাই এখন জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore news) চাহিদা ইলেকট্রিক টুনি বাল্ব নয় বরং ইলেকট্রিক লেজার লাইট । যে লেজার লাইট (Laser Light) দিয়ে দীপাবলির আগে রং-বেরঙের আলোতে নিজেদের ঘরবাড়ি সাজিয়ে তুলছেন মানুষজন ।
ডিজিটাল যুগের রমরমায় বিলুপ্তির পথে মাটির প্রদীপ ৷ সেই প্রদীপের বাজার দখল করেছে টুনি বাল্ব (Lasers replace string lights)। রং-বেরঙের ইলেকট্রিক টুনি বাল্ব দিয়ে কালীপুজো ও দীপাবলিতে ঘর সাজাতে অভ্যস্ত অনেকেই ৷ তবে এ বছর সেই ইলেকট্রিক টুনি বাল্বের বদলে লেজার লাইটের বাজার রমরমা ৷ টুনি বাল্বের বিক্রি নেই বললেই চলে ৷ একটা দোতলা ঘর সাজাতে প্রচুর পরিমাণে টুনি লাগে, সেখানে দুটি বা একটি লেজার লাইট দিলেই পুরো ঘর আলোকিত করা যায় । তাই মানুষ এখন টুনি বাল্বের পরিবর্তে লেজার লাইটের দিকেই বেশি ঝুঁকছেন ৷
দীপাবলির আগে লেজার লাইট কিনতে এখন ভিড় জমছে দোকানে দোকানে ৷ রকমারি লেজার লাইটের পসরা সাজিয়ে বসে রয়েছেন দোকানদাররা ৷ কোনওটা ক্রমাগত ঘুরে ঘুরে আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে, কোনওটা আবার এক জায়গায় থেমে থেকেই আলোকের ঝরনাধারায় ধুইয়ে দিচ্ছে চারিদিক ৷ এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের চিত্র, আঁকিবুকি এবং রকমারি সাউন্ডের লেজার লাইট এখন নজর কাড়ছে জঙ্গলমহল মেদিনীপুরের বিভিন্ন দোকানে ৷
আরও পড়ুন:আলোর উৎসব উদযাপন হোক ঘরোয়া লাড্ডুতে
শহরের লেজার লাইট বিক্রেতা রাকেশ ও সরফরাজ বলেন, একসময় মানুষ মাটির প্রদীপের উপরেই ভর করে ঘর সাজাতো । এরপর উঠে আসে সেই জায়গায় ইলেকট্রিক টুনি বাল্ব । রকমারি টুনি বাল্ব মানুষ কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন । গত বছরও এই টুনি বাল্বের দাপট ব্যাপক পরিমাণে ছিল । কিন্তু এই বছর মানুষ লেজার লাইটের উপর বেশি ভরসা করছে । কারণ একটি ঘর আলো দিয়ে সাজাতে প্রচুর পরিমাণে টুনি কিনতে হয় । তাছাড়া সেগুলি টেকসইও হয় না ৷ মাঝে মধ্যেই কেটে যায় ৷ তখনই পুরোটাই ফেলে দিতে হয় । তাই এখন মানুষ লেজার লাইটের উপরেই বেশি ঝুঁকছেন ।মেদিনীপুর শহর ছাড়াও শালবনি, গড়বেতা, ঘাটাল, দাসপুর, কেশপুর, সবং, পিংলা, ডেবরা ও খড়গপুরে প্রচুর বিক্রি হচ্ছে লেজার লাইটের ৷