ঝাড়গ্রাম, 29 অক্টোবর : শ্রমজীবী ক্যান্টিন পরিদর্শন করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বামনেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় । গতকাল ঝাড়গ্রামের শ্রমজীবী ক্যান্টিন পরিদর্শনে এসেছিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ৷ খাদ্যের গুনগত মান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের এই ক্যান্টিন প্রসঙ্গে কোনও অভাব অভিযোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে এসেছেন তিনি ৷ ক্যান্টিনের প্রশংসা করলেন ৷
ঝাড়গ্রামে 1 অক্টোবর থেকে এই ক্যান্টিন চালু হয়েছে ৷ মাত্র 20 টাকার বিনিময়ে মিলবে ক্যান্টিনের মাংস, ভাত, সবজি ও মিষ্টি ৷ ঝাড়গ্রামের CPI-র উদ্যোগে এই ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে ৷ একসময়ে ঝাড়গ্রাম স্টেশন সংলগ্ন CPI-র দলীয় কার্যালয়ে এই ক্যান্টিন উদ্বোধন করেন অভিনেতা বাদশা মৈত্র, বিমল চক্রবর্তী ও CPI-র রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
সকাল 9 টা থেকে 11 টা পর্যন্ত 20 টাকার বিনিময়ে এই ক্যান্টিনের খাবার খাওয়ার কুপন মেলে ৷ দুপুর 1 টা থেকে খাবার পরিবেশন করা শুরু হয় ৷ এছাড়া যাদের 20 টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই তাদের জন্য বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হয় ৷ তালিকায় থাকে- ভাতের সঙ্গে দু'রকম তরকারি, কোনও কোনও দিন ডিম, কোনও দিন মাংসের ব্যবস্থা থাকে ৷ একজনকে 2টির বেশি কুপন দেওয়া হয় না ৷
গতকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, দেশে ও রাজ্যে দুটি দল রাজনীতি করার জন্যই কাজ করছে ৷ তারা মানুষের কথা কোনওদিনই ভাবেনি ৷ বিশেষ করে যখন কোরোনা সংক্রমণে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি হয়, সেই সময় বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন ৷ এখন মানুষের হাতে টাকা নেই ৷ অথচ এই রাজনৈতিক দলগুলো শুধু ভোটের ফায়দার জন্য কাজ করে চলেছে ৷ সাধারণ মানুষের সাধ্য ও সামর্থ্যের কথা ভাবছেই না ৷
তিনি নিজের দলের সম্পর্কে বলেন, "একমাত্র CPM এবং বামফ্রন্ট সাধারণত খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের জন্য বিগত দিনে লড়াই করেছে, বর্তমানেও লড়াই জারি রেখেছে ৷ যার ফলে এই শ্রমজীবী ক্যান্টিন তৈরি করেছি ৷ এখানে কাজ হারানো, সামর্থ্যহীন মানুষগুলো দুবেলা-দুমুঠো খাবার পাবেন ৷ " কান্তিবাবু শ্রমজীবী ক্যান্টিনকে নগদ 2 হাজার টাকা দান করেন ৷