মেদিনীপুর, 4 জুন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নর্থ কোরিয়ার শাসকের আত্মীয় বলে কটাক্ষ করলেন পুরুলিয়ার BJP সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত । গতকাল সাংগঠনিক বৈঠকে পশ্চিম মেদিনীপুরে আসেন BJP-র সায়ন্তন বসু ও জ্যোতির্ময় সিং মাহাত । সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন জ্যোতির্ময় সিং মাহাত ।
BJP সাংসদদের এলাকায় ত্রাণ দিতে যাওয়া হচ্ছে না । এই অভিযোগ বারবার উঠেছে । তা নিয়ে জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, "উত্তর কোরিয়ার একজন প্রশাসক যেভাবে স্বেচ্ছাচারের মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা চালাচ্ছেন, এখানেও তাঁরই আত্মীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক একইভাবে পশ্চিমবাংলায় শাসন ব্যবস্থা চালাচ্ছেন । একজন নির্বাচিত সাংসদকে তাঁর এলাকায় যেতে বাধা, ত্রাণ দিতে গেলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হয় । হাইকোর্টের অনুমতি নিয়েই তবে এলাকায় প্রবেশ করতে পারেন ।"
তিনি আরও বলেন, "ওই এলাকায় নির্বাচিত প্রতিনিধি এলাকার জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে পারেন না । তাঁর ফোন ধরেন না জেলাশাসক । এরকমই অবস্থা গোটা পশ্চিমবাংলায় ।" তাঁর আরও সংযোজন, "দুর্গাপূজো ও সরস্বতী পুজো করার জন্য এই পশ্চিমবাংলার মানুষকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে । এটা একমাত্র এই পশ্চিমবাংলাতেই সম্ভব । দিদির রাজ্যে সম্ভব ।"
এরাজ্যের বহু মানুষ বাইরে কাজ করে । সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গ টেনে BJP সাংসদ বলেন, "বিগত দিনে একটি দল 34 বছর শাসন করেছে । এখন আর একটি দল 10 বছর শাসন করে চলেছেন । তারা কী করেছে বা করছে ? বাংলার এত শ্রমিক ভিন রাজ্যে কেন যাচ্ছে ।" কেন্দ্র সরকার যথাযথ সাহায্য করছে না । তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই অভিযোগ করা করা হয়েছে । সেই প্রসঙ্গে জ্যোতির্ময়বাবু বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করছে । চাল-ডাল দেওয়া হচ্ছে ।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি জ্যোতির্ময় সিং মাহাত ও সায়ন্তন বসু জঙ্গলমহলের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন সাংসদ । বলেন, "এতদিন আমরা তৃণমূল নেতাদের টাকা খেয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে কাটমানির নাম শুনেছি । তবে এখন দেখছি চাল গম সবই মেরে দিচ্ছে । গরিব মানুষের পাওয়া চাল গম মানুষ পাচ্ছে না । তাছাড়া ডালের ছিটেফোঁটা মেলেনি জঙ্গলমহলের মানুষ । এর উত্তর আগামীদিনে দিয়ে দেবে ।"