মেদিনীপুর, 31 অক্টোবর: দুর্গোপুজোতে সাংসদ নয়, একাধিক মণ্ডপে উদ্বোধনের ডাক পেয়েছিলেন বিধায়ক জুন মালিয়া (June Malia)। জগদ্ধাত্রী পুজোতেও (Jagadhatri Puja 2022) সেই কর্তৃত্ব বজায় রাখলেন তিনি (June inaugurates Jagadhatri Puja)। পেলেন প্রায় 10টি পুজো উদ্বোধনের ডাক । এ দিন মেদিনীপুর শহরে অগ্নিকন্যা ক্লাবের পুজো উদ্বোধন করলেন তিনি ৷ বাজালেন ঢাকও ।
দুর্গাপুজো তো বটেই, পাশাপাশি কালীপুজো এবং এমনকী জগদ্ধাত্রী পুজোতেও একাধিক উদ্বোধনে মেদিনীপুরে ডাক পেলেন বিধায়ক তথা অভিনেত্রী জুন মালিয়া । রবিবার তিনি জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরের 10টি পুজোর উদ্বোধন করেন । তার মধ্যে ছিল পঞ্চুরচকের অগ্নিকন্যা ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন । সেখানে জুন মালিয়া পুজো উদ্বোধনের পর দেবীর আরতি করেন ৷ ঢাক বাজিয়ে মেতে ওঠেন পুজোর ছন্দে ৷
মেদিনীপুরে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে জুন এই পুজোর উদ্বোধন ঘিরে শহর ছিল উৎসবমুখর । বহু মানুষ এ দিন থেকেই ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন রাস্তায় রাস্তায় । পুজোর উদ্বোধনে অভিনেত্রী জুন মালিয়াকে কাছে পেয়ে অনেকেই সেলফি তোলেন ৷ অনেকে আবার নেত্রীর সঙ্গে একবার হ্যান্ডশেক করার জন্য হাত বাড়িয়ে দেন ।
মেদিনীপুরে জগদ্ধাত্রী পুজো গতকাল থেকেই উদ্বোধন শুরু হয়ে গিয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজোর ৷ যদিও পুজো আগামী 2 নভেম্বর । নবমীর দিন দেবীর পুজোর পাশাপাশি হয় কুমারী পুজো ৷ মেদিনীপুরের অগ্নিকন্যা ক্লাবের পুজো এ বছর পা দিল দ্বাদশ বর্ষে । এই জগদ্ধাত্রী পুজোকে ঘিরে চার দিনব্যাপী রাখা হয়েছে অনুষ্ঠান পর্ব ।যেখানে বাউল, হিন্দি মেলোডি এবং আধুনিকের সঙ্গে এলাকার ছেলেমেয়েদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর্ব রাখা হয়েছে । এ ছাড়া কুমারি পুজো এবং শেষে অন্নকূটের মধ্যে দিয়ে এই পুজো শেষ হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা ।
আরও পড়ুন:আড়াইশো বছর ধরে মাকে কাঁচা মাংস ও মণ্ডা দিয়ে সন্তুষ্ট করে ঘোষ পরিবার
অগ্নিকন্যা ক্লাবের উদ্যোক্তা প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী ও বুদ্ধদেব মণ্ডলরা বলেন, মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন প্রয়োজন ৷ দীর্ঘ বিপর্যয় গিয়েছে এই বিশ্বজুড়ে । তাই মানুষকে আনন্দ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই পুজো এবং কয়েকদিন রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান ।
মেদিনীপুরে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে জুন মালিয়া এ দিকে, রবিবার মেদিনীপুরের কংসাবতী ঘাটে ছট পুজোর অনুষ্ঠানে মঞ্চ ভেঙে পড়ার ঘটনায় যিনি আহত হয়েছিলেন, তিনি এখন ভালো আছেন বলে জানান জুন মালিয়া ৷ অনুষ্ঠান চলাকালীন যখন মঞ্চে জেলাশাসক, বিধায়ক জুন মালিয়া, পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার ও পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান এবং 25টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন, তখনই মঞ্চটি ভেঙে পড়ে ৷ তবে বড়সড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ৷