Bengal Civic Poll 2022 : কাঁথি পৌরসভার বিজেপি প্রার্থীদের পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

কাঁথি পৌরসভায় 21 জন বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে 7 জনকে ইতিমধ্যেই পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে । তাঁদের নিরাপত্তার প্রয়োজন রয়েছে বলে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছিল জেলা পুলিশ সুপার ৷ এবার বাকি 14 জন বিজেপি প্রার্থীকেও পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (High Court has ordered police security for BJP candidates) ।

কলকাতা 25 ফেব্রুয়ারি :আসন্ন পৌরনির্বাচনে কাঁথি পৌরসভার 14 জন বিজেপি প্রার্থীকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । তবে তার জন্য সমস্ত খরচ বহন করবেন প্রার্থীরাই । নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের দিন অর্থাৎ 2 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে একজন করে সশস্ত্র পুলিশ থাকবে । প্রচারের সময় থাকতে পারবে নিরাপত্তারক্ষী (Police security for BJP candidates in Contai Municipality) ।

আসন্ন পৌরভোটের প্রচারে বাধা পাচ্ছেন, বহুদিন ধরেই অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন বিরোধী শিবিরের প্রার্থীরা ৷ ফলে আজ এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ ৷

উল্লেখ্য, কাঁথি পৌরসভায় 21 জন বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে 7 জনকে ইতিমধ্যেই পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে । তাঁদের নিরাপত্তার প্রয়োজন রয়েছে বলে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছিল জেলা পুলিশ সুপার ৷ কিন্তু, বাকি 14 জনের নিরাপত্তা রক্ষীর প্রয়োজন নেই বলেই ওই রিপোর্টে জানিয়েছিল পুলিশ । সেই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এই প্রার্থীদের নিরাপত্তা রক্ষী দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন ।

সেই আবেদনকে চ্যালেঞ্জ করেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিজেপি প্রার্থীদের আইনজীবীরা । তাঁদের মূল বক্তব্য ছিল, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তাঁদের অনবরত খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে । বারবার বলা হচ্ছে, তাঁরা যাতে নির্বাচনে লড়াই না করেন । প্রচারেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না । প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ তাঁদের বক্তব্য শোনার পর নির্দেশে জানান, ওই প্রার্থীরা নিজেদের সঙ্গে একজন করে সশস্ত্র পুলিশ রাখতে পারবে ৷ তবে তার যাবতীয় খরচ বহন তাঁদেরকেই বহন করতে হবে ।

আগামী 27 ফেব্রুয়ারি রাজ্যের 108টি পৌরসভায় নির্বাচন । নির্বাচনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতেই তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । নির্দেশে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সাধারণ ভোটদান থেকে শুরু করে প্রার্থীর নিরাপত্তা, কোথাও কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায় নিতে হবে নির্বাচন কমিশনারকে । এরপরেও বিরোধী দলের প্রার্থীদের অভিযোগ, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া থেকে শুরু করে ভোটের প্রচার, সমস্ত ক্ষেত্রেই বাধার মুখে পড়ছেন তাঁরা ।