ঘাটাল, 16 মে: করোনা পরিস্থিতিতে ঘাটাল হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল ৷ করোনা রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানাতে বা মর্গে লাশ ঢোকানোর ক্ষেত্রেও টাকা চাইছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা । ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে এই অভিযোগ উঠলেও এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্বাস্থ্য আধিকারিক ৷
করোনা আক্রান্ত রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত নেওয়া হচ্ছে টাকা । এমনকি করোনায় মৃতের দেহ মর্গে ঢোকানোর জন্য দিতে হবে টাকা ৷ এমন ঘটনায় শোরগোল পড়েছে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে । ঘাটাল হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করে হয়রানির শিকার হচ্ছেন করোনা আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা । পরিষেবা না পাওয়ার ভয়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে অনেকেই মুখ না খুললেও বারবার অভিযোগ করছে তাঁরা । ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ঘাটাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে এক করোনা আক্রান্তের বাড়ির লোক ৷ তাঁর অভিযোগ, পরিষেবা পেতে হলে প্রতিদিন হাসপাতালের কিছু স্বাস্থ্যকর্মীকে রোগীর বাড়ির লোককে 200 থেকে 400 টাকা করে দিতে হচ্ছে । এবিষয়ে চেষ্টা করলেও হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ।
ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে করোনা রোগীদের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে ৷ সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রোগীদের বাড়ির লোকজন ৷ তাঁদের রোগী ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন ৷ তাঁদের ভিতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ এই অবস্থায় স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালে তাঁরা যদি তাঁদের রোগীদের পরিষেবা আর না দেন সেই ভয়ে বেশিরভাগ রোগীর বাড়ির লোকই বিষয়টি চুপচাপ হজম করে যাচ্ছেন ৷ সরাসরি কর্তৃপক্ষকে নালিশ জানাতে পারছেন না ওই একই ভয়ে ৷ তবে সাংবাদিকদের সমস্যার কথা জানালেন ৷
করোনার পরিস্থিতিতে বহু সাধারণ মানুষের কাছে কাজ নেই ৷ নেই নগদের জোগানও ৷ এমন অভাব এবং আতঙ্কের পরিবেশের মধ্যেই সরকারি হাসপাালে স্বাস্থ্যকর্মীদের এমন ব্যবহার প্রশ্নের মুখে ফেলেছে স্বাস্ত্য ব্যবস্থাকে । শুধু মর্গে লাশ ঢোকানো নয়, করোনা রোগীদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর দেওয়ার পাশাপাশি অক্সিজেন দেওয়ার ক্ষেত্রেও টাকা চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগীর বাড়ির লোকের । অন্যান্য খরচ তো আছেই, যেমন গত কয়েকদিন আগেই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে অক্সিজেন সিলিন্ডার শেষ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন রোগীর আত্মীয়-স্বজনেরা। এবং পরে বাইরে থেকে বেশি টাকায় অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে আনতে বাধ্য হন তারা ।
আরও পড়ুন: কোভিড-19-এর চিকিৎসা থেকে বাদ পড়তে পারে প্লাজ়মা থেরাপি