মেদিনীপুর, 22 এপ্রিল : দীর্ঘ 21 দিনের পর আরও 18 দিনের লকডাউনের ঘোষণা ৷ এ যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া জেলার ফল ব্যবসায়ীদের কাছে । গ্রাহক নেই ৷ প্রতিদিন কেজি কেজি ফল পচছে ঝুড়িতে । আপেল, আঙুর, লেবু, কলার পচন রোধ করা যাচ্ছে না ৷ তাই জোর করেই দোকান খুলে রাখছে ব্যবসায়ীরা । লাভের লাভ কিছু হচ্ছে না ৷ ফলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে মেদিনীপুরের ফল ব্যবসায়ীরা ৷
সংক্রমনের নাম কোরোনা ভাইরাস ৷ আর এই কোরোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে দাপট দেখাচ্ছে গোটা পৃথিবীতে । সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে লকডাউনের আওতায় ভারত ৷ আর এতেই বিপাকে পড়েছেন ফল বিক্রেতারা । লকডাউনে ছাড় দেওয়া হয়েছে সবজি বিক্রেতাসহ ফল বিক্রেতাদের ৷ কিন্তু লকডাউনে ব্যবসায়ীদের সাধারণ দিনের চেয়ে বাণিজ্যিক হারে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ফল ৷ সেই ফল বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা । কারণ দোকান তো খোলা কিন্তু লকডাউনে মানুষ আগের মতো বেরোচ্ছে না । সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকটি মানুষ । তারা যা কিনছে তার পরিমাণও কম । রাস্তা জনশূন্য হয়ে পড়েছে । রাতের বেলা তো বটেই, দিনের বেলায়ও থাকছে না মানুষজন । চারিদিকে খাঁ খাঁ করছে । একসময় যে ফল দোকানগুলোতে দেদার ভিড় হত বা ফল কিনতে লম্বা লাইন পড়ে যেত, সেখানে জনশূন্য ৷ ফলে পাকা ফল প্রতিদিন কেজি কেজি নষ্ট হচ্ছে । পচা ফল ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছে ব্যবসায়ীরা । নিজের কেনা দাম তো উঠছেই না উল্টে খেসারত দিতে হচ্ছে । মেদিনীপুর শহরের খোদ ব্যবসায়ীরাই শুনিয়েছে সেই আতঙ্কের কথা ।