ট্র্যাক্টর দিয়ে মাঠের ফসল মাঠেই নষ্ট করলেন কৃষকরাই ঘাটাল, 17 ফেব্রুয়ারি: দিনের পর দিন ফসলের দাম নেই, চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে কৃষকরা (Farmers facing losses in Paschim Medinipur)। তাই বিঘের পর বিঘে জমির ফসল মাঠে ট্র্যাক্টর দিয়ে নিজেরাই নষ্ট করছেন কৃষকেরা । এরকমই মর্মান্তিক ছবি জঙ্গলমহলের পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল এলাকায় ।
ঘাটালের বিভিন্ন জায়গা যেমন খাসবাড়, বালিডাঙ্গা, মনসুকা-সহ দাসপুরের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা বিঘের পর বিঘের জুড়ে লঙ্কার চাষ ৷ এই মরশুমে লঙ্কা চাষ করে সারা বছরের আর্থিক সুরাহা হয় । অন্যান্য বছরের মতো এই বছর লঙ্কা চাষ করে ফসল ভালো হলেও লঙ্কার দাম না-থাকায় চরম বিপাকে কৃষকেরা । তাই মাঠের ফসল মাঠে ট্রাক্টর দিয়ে নষ্ট করছেন কৃষকেরা ৷ পরিস্থিতি থেকে রেহাই দিতে বিকল্প চাষ খুঁজছেন কৃষকরা।
কৃষকদের দাবি এক বিষে লঙ্কা চাষ করতে ওষুধ, মজুরি, জমির মাটি তৈরি করতে বিঘা পিছু খরচ হয় 50 থেকে 60 হাজার টাকা । কিন্তু কেজি প্রতি লঙ্কার দাম বাজারে 10 থেকে 12 টাকা কিলো । আর তাই লঙ্কার দাম না-থাকায় মাথায় হাত কৃষকদের । অগত্যা মাঠের ফসল মাঠেই ট্র্যাক্টর দিয়ে নষ্ট করে দিচ্ছেন কৃষকেরা ।
প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহলের পশ্চিম মেদিনীপুর অঞ্চলের ঘাটাল এলাকার ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় লঙ্কার চাষ হয় ৷ প্রায় বিঘার পর বিঘা জুড়ে লঙ্কার চাষ হয় ৷ এই লঙ্কা পাড়ি দেয় ভিন্ন ভিন্ন জেলা রাজ্য-সহ ভিন রাজ্যে । কিন্তু শীতের মরশুম শেষ হতে না-হতেই বাজারে লঙ্কার চাহিদা কমে গিয়েছে ৷ বর্তমানে যে চাহিদা আছে তা অতি নগণ্য। যার ফলে এই লঙ্কা নষ্ট করে দিচ্ছেন চাষিরা । চাষের পর ফসল ঘরে তুলতে যা খরচ, তা ফলে আরও আর্থিক ক্ষতির সন্মুখীন হন চাষিরা ৷ তাই বাধ্য হয়েই জমির ফসল জমিতেই নষ্ট করে দিচ্ছেন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন:দামোদরের চরে পোস্ত চাষের রমরমা, কড়া পদক্ষেপ আবগারি দফতরের
এলাকার এক চাষি রাজীব মিশ্র, উত্তম মিশ্ররা বলেন, "বিঘার পর বিঘা এই লঙ্কা চাষ করতে প্রতি বিঘা পিছু খরচ হয় 50 থেকে 60 হাজার টাকা । কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাজারে লঙ্কার চাহিদা কম ৷ যার ফলেই দাম নেই লঙ্কার ।" সরকারের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, "এখন সরকার দান-খয়রাতিতে ব্যস্ত। তারা এই দান-ধ্যান না-করে যদি সারের দাম কমাতো বা ফসলের দাম নিয়ন্ত্রণ করত তাতে অনেকটাই সুবিধা পেতে চাষীরা।"