চন্দ্রকোনা, 7 মার্চ: আলুর তেমন দাম নেই ৷ কিন্তু এই আলু চাষ করতে গিয়েই প্রায় 50 হাজার টাকার বেশি দেনা হয়ে যায় বিভিন্ন জায়গায় ৷ এই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল রাতে ৷ সকালে সব ঠিকই ছিল ৷ রং খেলতেও গিয়েছিলেন ৷ এদিকে স্ত্রী দুপুরের দিকে আধার কার্ডের ভুল সংশোধন করাতে যান ৷ সেই ফাঁকেই গলায় দড়ি দেন তাপস রুইদাস (30) ৷ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার ভগবানবাটি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি (Paschim Medinipur News)৷
মঙ্গলবার দোলের দিন বিকেল নাগাদ নিজের বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তাপস । এই বিষয়ে মৃতের স্ত্রী রুম্পা রুইদাস বলেন, "আবাস যোজনায় মেলেনি বাড়ি ৷ দীর্ঘদিন ধরে ছোট্ট মাটির বাড়িতে তিন সন্তানকে নিয়ে অভাবের সংসারে বসবাস ৷ আড়াই বিঘা জমিতে অনেক খরচ করে চাষ করলেও আলুর ফলন কমের জন্য চারিদিকে ধার-দেনা বেশি হয়ে গিয়েছিল ৷ চাষের জন্য যা খরচ হয়েছিল তা আলু চাষ করেও ওঠেনি ৷ এদিকে চাষ-সহ পারিবারিক ঋণের বোঝা পরিশোধ করতে পারছিল না । সেই কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। আজ পাড়ার ঠেকে বন্ধুদের সঙ্গে আলুর দাম ও ফলন নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হচ্ছিল । সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিল ৷ এরপর বাড়ি ফিরে আমার সঙ্গে ঝগড়াও হয় । আমি বিকেল নাগাদ আধার কার্ড সংশোধনের জন্য বাইরে বেরিয়ে যাই ৷ এসে দেখি ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে ৷"