পশ্চিম মেদিনীপুর, 11 ডিসেম্বর:রবিবারই মেয়েকে বাঁচাতে চিকিৎসার অভিযোগ তুলে মন্ত্রীর হাত-পায়ে পরেছিলেন মা রীনা রায় ৷ কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না ৷ জোড়া অস্ত্রোপচারের ধকল নিতে পারল না 13 বছরের কিশোরী ৷ রাতেই ঢলে পড়ল মৃত্যুর কোলে ৷ কাঠগড়ায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ৷ ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতার আত্মীয়রা ৷ বিশৃঙ্খলা রুখতে হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
মৃতার আত্মীয় নীলু রাণা ও প্রতিমা প্রামাণিকের অভিযোগ, মেয়ের মারা গিয়েছে তা প্রথমে জানানো হয়নি ৷ কোনওরকম পরীক্ষা ছাড়াই কী করে চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করলেন তার জবাব দিতে হবে ৷ চিকিৎসার গাফিলতির জন্য সুপ্রিয়া মারা গিয়েছে ৷ চিকিৎসকের কড়া শাস্তি চাই ৷
বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি শঙ্কর গুছাইত বলেন, "রোগীর মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই। আমরা আসার পর হাসপাতালের তরফ থেকে রোগীর মৃত্যুর খবর পরিবারকে জানানো হয় ৷ মেদিনীপুর হাসপাতাল শ্মশানে পরিণত হয়েছে। তাই বিনা কারণে রোগীদের মৃত্যু হচ্ছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ৷ দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।"
মেদিনীপুর শহর কালগাং এলাকার বাসিন্দা মা রীনা রায় ও বাবা রিঙ্কু রায়ের মেয়ে সুপ্রিয়া রায় অ্যাপেন্ডিক্সের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গত শুক্রবার । সেদিনই রাতে তড়িঘড়ি মেয়ের অ্যাপেন্ডিক্সের অপারেশন হয় বলে অভিযোগ মায়ের ৷ তিনি জানান, হাসপাতালে মেয়েকে ভর্তি করানোর সময় এত খারাপ অবস্থা ছিল না ৷ কোনও রকম পরীক্ষা না করিয়েই চিকিৎসক অপারেশন করে বলে অভিযোগ ৷ এরপর শনিবার সকালে ফের মেয়ের অপারেশন হয় ৷ তখন চিকিৎসক জানান, রক্ত বন্ধ হচ্ছে না ৷ আইসিইউতে মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷