এবারের ভয়ঙ্কর ঝড়ের নাম যশ । তবে এই নামের সঙ্গে আমি পরিচিত না হলেও বিগত দিনে বিভিন্ন ভয়ঙ্কর সুপার সাইক্লোনের সঙ্গে পরিচিত । বিশেষ করে আমি যেহেতু জঙ্গলমহলে বসবাস করি এবং দুই মেদিনীপুরের মধ্যবর্তী দাঁতনের বাসিন্দা, তাই ঝড়ের সঙ্গে পূর্ব পরিচিতি রয়েছে আমার । প্রতিবছরের মতো এবছরও ভয়ঙ্কর ঝড়ের পূর্বাভাস কয়েকদিন আগেই দিয়েছিলেন আবহবিদরা । তবে তা এতটা ভয়ঙ্কর হবে ভাবিনি । যদিও পূর্বাভাস মেনে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলাম এবারও ৷
প্রশাসনের তৎপরতায় একদিন আগেই অনেককে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ বিশেষ করে যাঁরা মাটির বাড়িতে থাকেন কিংবা নদীর ধারে থাকেন, তাঁদের আগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু আমি ত্রাণ শিবিরে যাইনি ৷ কারণ, আমি পাকা বাড়িতে থাকি ৷ তাই তুলনামূলক নিজেকে সুরক্ষিতই মনে হয়েছিল ৷
মঙ্গলবার রাত থেকেই হঠাৎ ঝড়ের গতিবেগ বাড়তে শুরু করে । গোটা রাত ধরে কখনও বেশি বা কখনও কম ছিল ঝড়ের গতিবেগ । বাড়ির পাশের কাঁঠাল গাছ এবং আম গাছ এমন শব্দ করে দুলছিল যে মনে হচ্ছিল রাতেই বোধহয় ভেঙে পড়বে ৷ তবে ঘরের পাশের পেয়ারা গাছের ডাল আগে ভেঙে পড়ে ৷ পেঁপে গাছটা তো হাওয়া পাওয়া মাত্রই উল্টে গেল । আমাদের রান্না ঘরের টিনের চালটাও মনে হচ্ছিল উড়ে যাবে ৷ গোটা রাত ধরে চলে এই তাণ্ডব । মাঝে আবার বৃষ্টিও হয় ।