মেদিনীপুর, 6 ডিসেম্বর: শিল্পায়ন হবে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে ৷ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে সেই শিল্পায়ন বাস্তবায়িত হবে ৷ গত সেপ্টেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্পেন সফরের সময় এই বিষয়টি সামনে আসে ৷ কিন্তু ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, সৌরভকে দিয়ে এই শিল্পায়নের দাবি ভিত্তিহীন ৷ তাঁর বক্তব্য, মহারাজের প্রতি বাঙালির আবেগকে ব্যবহার করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তাই রাজ্য সরকারের প্রতি সিপিএমের এই যুবনেত্রীর হুঁশিয়ারি, ‘‘সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে যদি আবেগ (ইমোশন) হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন, ভুল করছেন ৷ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ইমোশন বোঝে ৷’’
রাজ্যজুড়ে ইনসাফ যাত্রায় বেরিয়েছে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই ৷ সেই যাত্রা 33তম দিনে এসে পৌঁছয় পশ্চিম মেদিনীপুরের সদর শহর মেদিনীপুরে ৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুর চকে রবীন্দ্র মূর্তির পাদদেশে একটি ইনসাফ সভার আয়োজনও করা হয় । সেই সভায় বক্তব্য রাখেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় । বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করেন । পাশাপাশি আগামী 7 জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকেও আহ্বান জানান তিনি ৷
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মীনাক্ষী বলেন, ‘‘শালবনিতে তো শিল্পের গলা টিপে মেরে দিয়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, যিনি আরএসএস-এর প্রোডাক্ট । এই জঙ্গলমহলের মাটিতেই তো একাংশের মিডিয়া, বাইরে থেকে টাকা, রাজনাথ সিং, লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির নেতা, কিছু বুদ্ধিজীবীরা এবং কিছু সমাজসেবীরা যাঁরা আসলে মুখোশটা পরে থাকেন, যাঁরা কর্পোরেটদের পয়সায় চলেন, তাঁরা এখানে এসে মাটি খুঁড়েছিলেন, চাষ করেছিলেন ৷ তার ফলে গাছ বেরিয়েছে ৷ নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ যিনি আরএসএস-এর প্রোডাক্ট । ওরা হিন্দুধর্মকে গুরুত্ব দেয়, এরা মুসলিম ধর্মকে গুরুত্ব দিচ্ছে ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আসলে এই সরকার শিল্পেও জটিলতা তৈরি করে রেখেছে, যেমন চাকরিতেও জটিলতা তৈরি করে রেখেছে । এই সরকার ফেল করে গিয়েছে৷ এই সরকার অপদার্থ ৷ এদের দ্বারা শিল্প তৈরি হবে না । লাশ পড়ে আছে পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের ৷ এখানে কোনও বিনিয়োগকারী আসবেন না ।’’