পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

সচেতনতার অভাবে সময়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি, মৃত্যু জলাতঙ্ক রোগীর

সচেনতার অভাব ছিল ৷ তাই সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন পাননি ৷ শেষপর্যন্ত বাঁচানো গেল না জলাতঙ্ক রোগীকে ৷

died
মৃত লক্ষণ

By

Published : Feb 15, 2020, 12:55 AM IST

গোয়ালতোড়, 14 ফেব্রুয়ারি: বছর খানেক আগের কথা ৷ জলাতঙ্করোগী লক্ষণ রানা দিন কাটাচ্ছিলেন হাত, পা বাঁধা অবস্থাতেই ৷ শুধুই অর্থাভাব নয় ৷ ছিল সচেতনতার অভাব ৷ অবহেলাও ৷ প্রতিষেধক টিকাটুকু দিতে নিয়ে যায়নি পরিবারের কেউ ৷ ন্যূনতম চিকিৎসাও পাননি ৷ দু'দিন আগে অতিরিক্ত অস্বাভাবিক আচরণ নজরে পড়ে পরিবারের ৷ কলকাতায় নিয়ে আসা হয় ৷ কিন্তু শেষপর্যন্ত বাঁচানো গেল না তাঁকে ৷ আজ সকালে মৃত্যু হয় তাঁর ৷ চিকিৎসকদের কথায়, আগে নিয়ে এলে বাঁচানো যেত লক্ষণকে ৷ এক্ষেত্রে অনেক দেরি করে ফেলেছেন পরিবারের সদস্যরা ৷

এক বছর আগে লক্ষণকে কুকুর কামড়ায় ৷ পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই ৷ রয়েছে সচেতনতার অভাবও ৷ তাই কুকুরে কামড়ানোর পর তাঁকে ভ্যাকসিন দিতে নিয়ে যাওয়া হয়নি ৷ সেই কারণেই কিছুদিন কেটে যাওয়ার পর জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হন লক্ষণ ৷ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে একবারই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে ৷ কিন্তু সেখানে জলাতঙ্কের কোনও চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই ৷ সেথানকার চিকিৎসকরা রোগীকে কলকাতা নিয়ে যেতে বলেন ৷ কিন্তু কলকাতার কোথায় চিকিৎসা হয় তা জানা ছিল না পরিবারের সদস্যদের ৷ তাই তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়নি ৷ ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন লক্ষণ ৷ বাড়ির মধ্যে তাঁকে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছিল ৷

দু'দিন আগে তাঁর অতিরিক্ত অস্বাভাবিক আচরণ নজরে পড়ে পরিবারের ৷ ঘটনার কথা জানতে পারেন জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা ৷ তিনি কলকাতায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন ৷ ঠিক করে দেন সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ৷ গতকাল বিকেলে বেলেঘাটা ID হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় লক্ষণকে ৷ আজ সকালে মৃত্যু হয় তাঁর ৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সঠিক সময় চিকিৎসা হলে বাঁচতে পারতেন লক্ষণ ৷ অনেক দেরি হয়ে যাওয়ার কারণেই তাঁকে বাঁচানো যায়নি ৷ ঘটনায় গিরিশবাবুর বক্তব্য " এখনও অনেকের মধ্যে জলাতঙ্ক নিয়ে সচেতনতা গড়ে ওঠেনি ৷ জলাতঙ্ক নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে ক্যাম্প করা হবে ৷ "

ABOUT THE AUTHOR

...view details