মেদিনীপুর, 29 অগস্ট : পঞ্চায়েত প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) ৷ পাশাপাশি মেদিনীপুরের গুলিকাণ্ড নিয়ে তিনি পুলিশের নিন্দা করেন ৷ পুলিশের কাছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দাবি জানান তিনি ৷
শনিবার রাতে একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী সদলবলে একটি হোটেলে এসে প্রকাশ্যে বন্দুক দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা দাবি করে ৷ পিস্তল নিয়ে ভয় দেখায় শ্মশান যাত্রী এক যুবককেও । এরপর তারা পালিয়ে যায় । এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় জেলায় ৷ সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুষ্কৃতী শুধু একটি নয়, একাধিক পিস্তল টেবিলে সাজিয়ে রেখে ভয় দেখাচ্ছে দোকান মালিক এবং হোটেলের কর্মচারীকে । তাঁর কানের পাশেও বন্দুক ধরা হচ্ছে ৷ এরকম হাড় হিম করা ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন । তড়িঘড়ি দু'ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় মেদিনীপুর থেকে ।
এই ঘটনার জন্যই এদিন মেদিনীপুরে বৈঠক করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল কংগ্রেস এবং পুলিশকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন দিলীপ ৷ বলেন, "সামনে নির্বাচন ৷ তাই বন্দুক নিয়ে ভয় দেখানোর চক্রান্ত চলছে ৷ এভাবে প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে । এখানে বোম-বন্দুকের কারখানা চলছে ৷ এটাই শিল্প ৷ এ যেন আফগানিস্তানের মতো অবস্থা হয়ে উঠেছে ৷ মানুষ যাবে কোথায় ?"
তাঁর দাবি, শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, জেলার খড়্গপুরেও গুলি চলেছে ৷ এটিএম গাড়ি লুট করার চেষ্টা করা হয়েছে । এছাড়া বন্দুক দেখিয়ে চুরি-ছিনতাই তো চলছেই ক্রমাগত । কারণ এই দুষ্কৃতীরাই এখন তৃণমূল পার্টি চালাচ্ছে ৷ তাই পুলিশ তাদের গায়ে হাত দিচ্ছে না । আর এই ধরনের সন্ত্রাস বেড়েই চলছে । এই ঘটনা খুবই লজ্জা এবং নিন্দনীয় । সাধারণ মানুষের এর বিরোধিতা করা উচিত বলে তিনি মনে করেন ।
ঘটনার দু'ঘণ্টার মধ্যেই মূল দুষ্কৃতী গ্রেফতার হওয়ায় পুলিশকে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা করেছে । তার প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ বলেন, "ভিডিয়ো ফুটেজ পাওয়ার পর পুলিশ তা দেখে দুষ্কৃতী ধরেছে ৷ এতে পুরস্কার পাওয়ার কিছু নেই ৷ এখন পুলিশ এত সক্রিয়, কিন্তু যখন রাজনৈতিক হিংসায় বিজেপির কর্মীরা মারা যাচ্ছিলেন তখন পুলিশ কোথায় ছিল ? আমরা ভিডিয়ো ফুটেজে দোষীদের নাম উল্লেখ করেছিলাম তবুও তাদের ধরেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ । পরবর্তীকালে কোর্টের নির্দেশের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকার করেছেন যে 16 জন কর্মীকে খুন করা হয়েছে । আমরা পুলিশের সঙ্গে রয়েছি । তবে পুলিশ সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিক ।"