মেদিনীপুর, 24 সেপ্টেম্বর: এবার পুজোয় হয়তো ছানার মিষ্টি ও দই উঠবে না মেদিনীপুরবাসীর মুখে ৷ কেননা ছানার দাম অবৈধভাবে দ্বিগুণ করতে চাইছেন ছানা ব্যবসায়ীরা বলে অভিযোগ মিষ্টির ব্যবসায়ীদের (Curd Price Hike) । আর তাতেই ছানার মিষ্টি তৈরি থেকে বিরত থাকতে চাইছেন মেদিনীপুরের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা । এর ফলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে মেদিনীপুরের মানুষ ছানার মিষ্টি থেকে বঞ্চিত হতে পারে ।
যদিও অন্যান্য জায়গা থেকে মেদিনীপুরে তুলনামূলক কম দামে স্বাদে এবং গন্ধে সুস্বাদু মিষ্টি পাওয়া যায় । সেই মিষ্টির দাম পাঁচ টাকা থেকে 12 ও 15 টাকার ভেতরেই সীমাবদ্ধ রয়েছে । যাতে জঙ্গলমহল অধ্যুষিত মেদিনীপুরের খেটে খাওয়া গরিব মানুষেরাও এই ছানার মিষ্টি এবং সঙ্গে দই কিনতে পারেন । কিন্তু সম্প্রতি মেদিনীপুরের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদেরকে দেওয়া ছানার ব্যবসায়ীরা ছানার সঙ্গে দুধের দাম বাড়াতে চলেছেন প্রায় দ্বিগুণ (Curd price rise keeps Midnapore sweet traders on tenterhooks) ৷ আর তাতেই ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে মিষ্টি ব্যবসায়ীদের মধ্যে ।
ছানার দাম ইতিমধ্যে কেজিতে 182 টাকা ৷ এর পরিবর্তে দাম দাবি করা হচ্ছে 260 টাকা ৷ দুধের দাম 49 টাকা থেকে বাড়াতে চাওয়া হয়েছে 65 তে । আর তাতেই বেঁকে বসেছে মেদিনীপুরের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা । কারণ একেই জিনিসপত্রের দাম আগুন ৷ সেখানে যতটা পরিমাণে কম দামে মিষ্টি দেওয়া যায় সেইটাই তাঁরা চেষ্টা করছেন ৷ কিন্তু এইভাবে যদি দ্বিগুণ দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে পাঁচ টাকার মিষ্টি গিয়ে দাঁড়াবে 15 অথবা কুড়ি টাকাতে । তাতে হয়তো আর ছানার মিষ্টি দেওয়া যাবে না জঙ্গলমহলের মানুষকে ।
আর এর ফলে পুজোর সময় সমস্যায় পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে । কারণ সামনে বাংলা আর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো ৷ তারপরেই লক্ষ্মী, জগদ্ধাত্রী এবং শেষ পর্যন্ত সরস্বতী পুজোতে শেষ হবে পুজোর মরশুম । আর প্রতি পুজোতেই মিষ্টি এক অপরিহার্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় । কিন্তু বর্তমানে মেদিনীপুরের দোকান থেকে উধাও হতে যেতে বসেছে ছানার মিষ্টি, রসগোল্লা, রাজভোগ, পান্তুয়া, চমচম, রসমালাই সঙ্গে দইও (Sweet Lovers) ।