ঝাড়গ্রাম, 23 এপ্রিল : ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপারের নতুন দপ্তর থেকে আচমকা এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ৷ 14 রাউন্ড গুলি চালান তিনি । মাইকিং করে তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় ৷ ঘটনার পরই সেই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ ৷
আজ দুপুর পৌনে দু'টো নাগাদ জেলার পুলিশ সুপারের নতুন দপ্তরের অস্ত্রাগার বিভাগ থেকে গুলির আওয়াজ আসতে থাকে ৷ রাস্তার দিকেও ছুটে আসে এলোপাথাড়ি গুলি ৷ সূত্রের খবর, অস্ত্রাগারে পাহারা দিচ্ছিলেন কনস্টেবল বিনোদ কুমার ৷ তিনি তাঁর SLR রাইফেল থেকে একটানা গুলি চালিয়েছেন ৷ ঘটনার পর পুলিশ এলাকা ঘিরে ফেলে ৷ হাজার হন IC, SDPO । বারবার মাইকিং করা হয় । তাঁর সব অভিযোগ শোনা হবে বলেও জানানো হয় ৷
সূত্রের খবর, আজই সকাল 11টায় নতুন দপ্তরের অস্ত্রাগারের ডিউটিতে জয়েন করেছেন বিনোদ ৷ তারপরই দুপুর পৌনে দু'টো নাগাদ গুলির শব্দ শোনা যায় ৷ 14 রাউন্ড গুলি চালান তিনি ৷ পুলিশের মাইকিংয়ের পর তিনি গুলি চালানো বন্ধ করেছেন ৷ যদিও লকডাউনের কারণে রাস্তায় কেউ না থাকায় বড় কোনও বিপদ হয়নি ৷
দীর্ঘ সাত ঘণ্টা পর রাত 9 টা 10 মিনিট নাগাদ অবশেষে অস্ত্রাগার থেকে নেমে আসেন কনস্টেবল বিনোদ কুমার ৷ বিকেলে পুরুলিয়ার কোটশিলা থেকে খবর পেয়ে ঝাড়গ্রাম এসে পৌঁছান বিনোদের পরিবারের সদস্যরা ৷ সূত্রের খবর, তাঁদের আবেদনেই নেমে আসেন তিনি৷
পুলিশ সুপার অমিত কুমার রাঠোর বলেন, "ওই কনস্টেবলের হ্যালুসিনেশনের দোষ আছে ৷ এই কারণেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷ তবে, তার বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বা কী পদক্ষেপ করা হবে সে বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারব না ৷"