মেদিনীপুর, 7 অক্টোবর : স্বাধীনতার আগে তৎকালীন মেদিনীপুর শহরে 3 কুখ্যাত ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেটকে পর পর গুলি করে খুন করেছিলেন বাংলার বিপ্লবীরা ৷ এরপরেই এখানকার বিপ্লবীদের দমন করতে তাঁদের উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল ইংরেজরা । ঠিক সেই সময়েই জোটবদ্ধ হওয়ার তাগিদে মেদিনীপুর শহরে দুর্গা পুজোর সূচনা করেন বিপ্লবীরা ৷ সেই থেকেই পথ চলা শুরু কর্ণেলগোলা আদি সর্বজনীন দুর্গা পুজোর ৷ এবছর 87 তম বর্ষে পা রাখল এই পুজো ।
পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে খোলা মণ্ডপে পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে ৷ পুজোর কটা দিন নিয়ম এবং ঐতিহ্য মেনে এখানে হবে মায়ের আরাধনা ৷ পুজোর উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, স্বাধীনতার আগে 1931, 1932 ও 1933 সালে তৎকালীন অবিভক্ত মেদিনীপুরে বিপ্লবীদের উপর অত্যাচার শুরু করে ব্রিটিশরা । সেই অত্যাচারের বদলা নিতে ওই তিন বছর পর পর তিন কুখ্যাত ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেটকে খুন করেন অনাথ বন্ধু পাঁজা, বিমল দাসগুপ্ত, মৃগেন দত্ত, জ্যোতি জীবন ঘোষ, কানাইলাল ঘোষের মতো বিপ্লবীরা ৷ এর জেরে ব্রিটিশদের মনে আতঙ্ক ঢুকে গিয়েছিল। কোনও ব্রিটিশ অফিসার সে সময় মেদিনীপুরে আসতে চাইতেন না । এর প্রতিশোধ নিতে জন সাধারণের উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ইংরেজরা ৷ বিপ্লবীরা যাতে জোটবদ্ধ হতে না পারেন তার জন্য জারি হয় নাইট কারফিউ । ফলে সে সময় ইচ্ছে থাকলেও জোটবদ্ধ হতে পারছিলেন না বিপ্লবীরা ৷