দাসপুর, 11 সেপ্টেম্বর: পরিবারের হতদরিদ্র অবস্থা । স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা মেয়ের তাই হঠাৎ করেই বিয়ে ঠিক করে ফেলেছিল তার পরিবার। কিন্তু নাবালিকার বিয়ে দেওয়া যে অন্যায়, তাই কঠিন সময় মুশকিল আসান হল সহপাঠীরা (Stop Minor Girl Wedding)। নাবালিকার বাবা-মা'কে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করে সচেতনতার এক নয়া দৃষ্টান্ত স্থাপন করল সহপাঠীরা (Classmates Stopped Minor Girl Wedding)। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার বরুনা সৎসঙ্গ হাই স্কুলের।
দরিদ্র পরিবারের মেয়ে, বাবা-মা চেয়েছিলেন মেয়েকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিতে। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় মেয়ের বিয়ের ঠিক করে ফেলেন বাড়ির লোকজন। পড়াশোনা বন্ধ করে ওই ছাত্রীটিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আত্মীয়ের বাড়ি। অন্যদিকে নাবালিকা ছাত্রী আচমকা স্কুল বন্ধ করে দেওয়ায় শিক্ষকদের পরামর্শে তার বাড়িতে পৌঁছে যায় সহপাঠীরা।
বন্ধুরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে, নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়ার তোড়জোর শুরু করেছেন বাবা-মা ও পরিজনরা ৷ ঘটনার কথা জানতে পেরে স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবের একদল ছাত্রী নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে বাবা-মা এবং বাড়ির লোকজনকে বুঝিয়ে ছাত্রীকে ফিরিয়ে আনে স্কুলে। ফের বন্ধু স্কুলে আসছে দেখে খুশি সকলেই।
নাবালিকার বিয়ে রুখল সহপাঠীরা আরও পড়ুন :পড়তে চাই ! থানায় গিয়ে নিজের বিয়ে রুখল নাবালিকা
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক (Head Master of the School) সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী হঠাৎ স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। ছাত্রীর পরিবার নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে এই খবর পাওয়ার পরই কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যারা ওই ছাত্রীর বাবা-মা'কে বুঝিয়ে, বিয়ে বন্ধ করিয়ে, মেয়েকে পড়াশুনা করাতে রাজি করায়। এই ঘটনার পর ছাত্রীটি পুনরায় স্কুলে আসে । পাশাপাশি মাধ্যমিকের জন্য রেজিষ্ট্রেশনও করে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত যাতে তার পড়াশোনার কোনও সমস্যা না-হয় তা আমরা দেখব বলে পরিবারকে আশ্বস্ত করেছি।"