চন্দ্রকোনা, 10 নভেম্বর: একমাত্র কর্মী অবসর নিয়েছেন ৷ যার জেরে 8 মাস ধরে তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ পাঠাগার (Chandrakona Rural Library) । দ্রুত কর্মী নিয়োগ করে পাঠাগার চালুর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসীরা ।
1965 সালে সরকারিভাবে গড়ে ওঠে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ পাঠাগার । পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার 3 নম্বর ওয়ার্ডের ঠাকুরবাড়ি বাজারে তৈরি হয় এই পাঠাগার ৷ সেসময় থেকে একজন গ্রন্থাগার ও একজন জুনিয়র লাইব্রেরি এ্যাটেডেন্ট দিয়ে চলত পাঠাগারটি । 2007 সালে পাঠাগারের গ্রন্থাগার চঞ্চলকুমার দে মারা যান ৷ ওই সময় অবসর নেন পাঠাগারের অপর জুনিয়র লাইব্রেরি এ্যাটেডেন্ট ।
চঞ্চলের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী মালতি দে জুনিয়র লাইব্রেরি এ্যাটেডেন্ট হিসাবে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ পাঠাগারে কাজে যোগ দেন । তারপর থেকে মালতি একাই এই পাঠাগারের দায়িত্বভার সামলে এসেছেন । চলতি বছরের 28 ফেব্রুয়ারি অবসর নেন তিনি ৷ আর তারপর থেকে কোনও কর্মী নিয়োগ হয়নি পাঠাগারে ৷ প্রায় 8 মাস পেরিয়ে গেলেও তালাবন্ধ অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে চন্দ্রকোনা শহরের পুরানো এই সরকারি গ্রামীণ পাঠাগারটি (Chandrakona Rural Library closed for 8 months due to lack of staff) ।