পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Martyr Khudiram Bose: বংশ পরম্পরায় ক্ষুদিরামের জন্মভিটের দেখভালকারীরা আজ উপেক্ষিত! - caretaker of house of Khudiram Bose

উপেক্ষিত স্বাধীনতা সংগ্রমী ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম ভিটের কেয়ারটেকাররাও ৷ ডাক পান বা কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে ৷ তা নিয়ে অবশ্য কোনও আক্ষেপ নেই ৷ নিজেদের মতো করেই তাঁরা পালন করেন ক্ষুদিরাম বসুর মৃত্যুদিন ৷

Etv Bharat
Etv Bharat

By

Published : Aug 11, 2023, 8:56 PM IST

ক্ষুদিরামের জন্মভিটের দেখভালকারীরা আজ উপেক্ষিত

মোহবনি, 11 অগস্ট: বংশ পরম্পরায় হয়ে আসছে ক্ষুদিরাম বসুর জন্মভিটের দেখভাল। অথচ বর্তমানে উপেক্ষিত সেই কেয়ারটেকাররা। সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই উপেক্ষিত ক্ষুদিরামের জন্মভিটের দেখভালকারীরা ৷ কারণ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরেই তাঁদের অনুষ্ঠানে ডাকা হয় না ৷ তবে জন্মভিটেয় নতুন করে লাগানো হয়েছে লাইট ৷ এমনকী সৌন্দর্যায়ন করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বর্তমান সরকার, দাবি বর্তমান কেয়ারটেকার পরিবারের।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে যে সকল বিপ্লবীদের নাম জ্বলজ্বল করছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম বীর বিপ্লবী হলেন বাংলার ক্ষুদিরাম বসু, যিনি মাত্র 18 বছর বয়সেই আত্মবলিদান দিয়েছিলেন দেশের জন্য ৷ আজকের দিনেই ফাঁসির মঞ্চে শহিদ হন বিপ্লবী ক্ষুদীরাম বসু ৷ তবে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের মোহবনিতে তাঁর জন্মভিটে এখনও রয়েছে। এই কেয়ারটেকাররা বংশ পরম্পরায় ক্ষুদিরাম বসুর জন্মভিটে তদারকি করে আসছেন। তবে সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরই যেন তাঁরা উপেক্ষিত ৷ এমনটাই অভিযোগ কেয়ারটেকার শান্তি বসুর ৷

উপেক্ষিত হলেও দায়িত্ব পালনে তিনি কোনও অবহেলা করেননি ৷ বর্তমান কেয়ারটেকার শান্তি বসু বলেন, "এক সময় যখন এই জন্মভিটে অবহেলিতভাবে পড়েছিল তখন আমরা বংশপরম্পরায় দেখভাল করতাম । কিন্তু 2011 সালের পর পট পরিবর্তন হয় । 2019 সালের পর ফের বর্তমান শাসক দল এবং আরেকটি দল এর দায়িত্ব নিতে চায়। এই ঘটনার জেরেই এর পুরো দায়িত্ব সরকার থেকে অধিগ্রহণ করা হয়। সেই থেকে এই ক্ষুদিরাম বসুর জন্মভিটেতে সরকারিভাবে পালন করা হয় আজকের দিনটি ৷ কিন্তু আমাদের সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না, ডাকা হয় না অনুষ্ঠানে। আমরা ভোরবেলায় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছি আমাদের বীর বিপ্লবীকে ।"

আরও পড়ুন:আত্মবলিদান দিবসে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য ঝাড়গ্রামবাসীর

ক্ষুদিরাম বসুর স্মৃতি রক্ষা কমিটির সদস্য মুকুল চক্রবর্তীর গলাতেও একই সুর ৷ কয়েকজন সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে পালিত হয় অনুষ্ঠান ৷ এমনকী গ্রামবাসীদেরও ডাক পড়ে না ৷ শুক্রবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি, মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়া, বিধায়ক-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ৷ মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয় বীর বিপ্লবীকে।

ABOUT THE AUTHOR

...view details