মেদিনীপুর,12 ই জুন : কলকাতায় মৃতদেহর ভাইরাল ভিডিয়ো সোশাল সাইটে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে তীব্র কটাক্ষ করল পুরুলিয়ার BJP সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। এদিন তিনি বলেন, “তালিবানের দেশে যেভাবে তালিবানরা লাশ পাচার করে, ঠিক সেইভাবেই কলকাতয় লাশ পাচার করছে তৃণমূল শাসকদল। এটা একটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি।” তৃণমূলের যুব শক্তিকে নিয়েও কটাক্ষ করে সাংসদ বলেন, “এই যুব শক্তি একুশে সাফ হয়ে যাবে।”
দেশে কোরোনায় সংক্রমণের সংখ্যা ইতিমধ্যেই তিন লাখ ছাড়িয়েছে। রাজ্যের পরিস্থিতি খারাপ। অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ছে সংক্রমনের সংখ্যা।
তালিবানের দেশের মতো লাশ পাচার করছে সরকার: জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো - MP Jyotirmoy Singh Mahato
কলকাতায় মৃতদেহের ভাইরাল ভিডিয়ো থেকে শুরু করে তৃণমূলের যুবশক্তির প্রসঙ্গে কটাক্ষ । আক্রমণ পুরুলিয়ার BJP সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর ।
কোরোনা সংক্রমণে সরকারিভাবে মারা যাচ্ছে বহু মানুষ। গত বৃহস্পতিবার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় কলকাতাজুড়ে। সেই ভিডিয়ো দেখা যাচ্ছে, একের পর এক লাশ গাদাগাদি অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেখান থেকে লাশগুলোকে টেনে টেনে গাড়িতে তোলা হচ্ছে। ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওর বিষয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন পুরুলিয়ার BJP সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। মেদিনীপুরে একটি রক্তদান শিবিরে এসে কটাক্ষ করে তিনি বললেন, “যেভাবে তালিবানের দেশে তালিবানরা সাধারণ মানুষের দাবি-দাওয়া না মেনে এবং তাদের মেরে লাশ হাপিস করে দেয়। ঠিক সেইভাবে বর্তমানে তৃণমূল শাসকদল এরাজ্যেও কোরোনার সঙ্গে লড়াই না করে বরং লাশ গায়েব করছে,এটা বড় ভয়ঙ্কর। রাজ্য সরকার অন্যায়ভাবে কোরোনায় মৃত্যুর পর সেই মৃত লাশের সঙ্গে অবিচার এবং অন্যায় করছে। এটা নজিরবিহীন যদিও প্রতিটি মৃত্যুই দুঃখজনক এটা না বুঝেই উনি প্রতিটা লাশ হাপিস করতে চাইছেন।”
তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর নতুন যুবশক্তি প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, “এটা একটা হাস্যকর ব্যাপার। গত 10 বছরে এই তৃণমূল যুব শক্তির সঙ্গে কি ব্যবহার করেছেন সেটা আমরা দেখতে পেয়েছি। যুব আর শক্তি এটা আর নেই ,2021 এ ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর ওনারা সারাবছরই সংগঠন করতে থাকুন। তাতে আর কোন অসুবিধা হবে না এই বাংলায়। তৃণমূলকে যখন যুব শক্তি সুযোগ দিয়েছিল তখন যুব শক্তিকে তৃণমূল কাজে লাগিয়ে পুরুলিয়ার BJP লোকজনকে মেরে গাছে টাঙিয়ে মেরে দিয়েছিল।একশোর উপর কার্যকর্তা কে হত্যা করেছিল এই যুবশক্তিকে দিয়ে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবজারভার থাকাকালীন যুবশক্তি এই ধরনের কার্যক্রম করেছিল।আর এই ধরনের যুবশক্তিকে চাইনা বাংলার মানুষ।একুশে সাফ হয়ে যাওয়ার পর আপনারা এই ধরনের কার্যকলাপ করতে থাকবেন সারা জীবন ধরে।’’