মেদিনীপুর, 17 নভেম্বর : বজ্র আঁটুনি, ফসকা গেঁড়ো ৷ মেদিনীপুর পৌরসভা এলাকায় করোনা নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকাকে এভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় ৷ একদিকে মেদিনীপুর পৌরসভা এলাকায় করোনা সংক্রমণের জেরে 25টি ওয়ার্ডে কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে ৷ আবার সেই কন্টেনমেন্ট জোনের মধ্যে পৌরসভা থেকে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করতে দেখা গেল ৷ এমনই চূড়ান্ত অব্যবস্থা মেদিনীপুর পৌর এলাকায় ৷ যে বিজয়া সম্মিলনীতে শাসকদলের নেতা ও মন্ত্রীদেরও দেখা গিয়েছে ৷ যদিও, এ নিয়ে পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক সৌমেন খাঁ-র দাবি, নবান্নের নির্দেশ মেনে 70 শতাংশ জমায়েত করে অনুষ্ঠান করা হয়েছে ৷ কিন্তু, কন্টাইনমেন্ট জোনে 70 শতাংশ জমায়েতের অনুমতি কি নবান্ন থেকে দেওয়া হয়েছে ? সেই প্রশ্নে মুখে কুলুপ পৌর কর্তৃপক্ষের ৷
উৎসবে মরসুমে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে ৷ বিশেষ করে দুর্গা পুজোর পর থেকে রাজ্যে সংক্রমণের হার অনেকটাই বেড়েছে ৷ একইভাবে সংক্রমণ বেড়েছে মেদিনীপুর পৌরসভা এলাকাতেও ৷ সেই কারণে মেদিনীপুর পৌরসভার 25টি ওয়ার্ডে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি কন্টেনমেন্ট জোন করা হয়েছে ৷ কিন্তু, কন্টেনমেন্ট জোনের মধ্যেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর পৌর প্রশাসক বোর্ডের বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ মঙ্গলবার রাতে পৌর এলাকার নাগরিকদের নিয়ে বড় করে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল ৷ যেখানে মেদিনীপুর শহরের বহু মানুষ অংশ নিয়েছিল ৷ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল ওই বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে ৷
আরও পড়ুন : Corona in India : ফের দৈনিক সংক্রমণ 10 হাজারের ঘরে, বেড়েছে মৃত্যু
আর সেই মঞ্চেই উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ৷ ছিলেন মেদিনীপুর পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক সৌমেন খাঁ, মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া এবং জেলার পুলিশ আধিকারিকরা ৷ আর সেই অনুষ্ঠানে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ পালনের কোনও লক্ষ্মণই দেখা যায়নি বলে অভিযোগ ৷ এমনকি মঞ্চে উপস্থিত ভিভিআইপি-দের মুখে মাস্ক ছিল না বলেও অভিযোগ ৷ অনুষ্ঠান মঞ্চে সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক অদিতি মুন্সি ৷