মেদিনীপুর 19 জুলাই : মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগরে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভুয়ো বলে অভিযোগ উঠল ৷ অভিযোগ করলেন এক রোগী ও তাঁর আত্মীয়রা ৷ অভিযোগ, ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির রেজিস্ট্রশন নম্বর, জিএসটি নম্বর নেই ৷ তারা হাতে লেখা বিলে রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে ৷ এদিন রোগীর আত্মীয়রা ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির সামনে বিক্ষোভ দেখালে ঘটনা প্রকাশ্যে আসে । প্রশাসন ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে ৷
অভিযোগ, মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগরে দীর্ঘদিন রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছিল অভিযুক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি । কদিন আগে রাজারবাগান এলাকার বাসিন্দা সালমা বিবি পেটের ব্যথা নিয়ে দ্য এইচএমসি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসেন ৷ সেখানকার ডাক্তার সৌগত রায়কে দেখান ৷ ডাক্তার ওষুধের পাশাপাশি বেশ কিছু পরীক্ষা করাতে বলেন ৷ সেই মতো ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারেই পরীক্ষা করান সালমা বিবি ৷ সময় মতো রিপোর্ট নিতে এলে তাঁকে ঘোরানো হয় ৷ একদিন পরে 3 হাজার 100 টাকার বিনিময়ে রিপোর্ট দেওয়া হয় ৷ যদিও রিপোর্ট অনুযায়ী ডাক্তারের ওষুধ খেয়েও সুস্থ না হওয়ায় তিনি নতুন করে অন্য জায়গায় পরীক্ষা করান ৷ পুরোনো ও নতুন রিপোর্ট অন্য একজন ডাক্তারকে দেখালে জানা যায়, দুটি রিপোর্টে আকাশ-পাতাল তফাৎ ৷ যদিও অভিযুক্ত ডায়গনস্টিক সেন্টারের ডাক্তার সৌগত রায় প্রথমটায় সে কথা মানতে চাননি ৷ পরে অবশ্য বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন ৷ এর পরই চাঞ্চল্য তৈরি হয় ডায়গনস্টিক সেন্টারটিকে ঘিরে ৷ রোগীর আত্মীয়রা বিক্ষোভ দেখান এই ঘটনায় । যদিও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তা শেখ মুস্তাক প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করে পরে ভুল স্বীকার করেন ৷ বলেন, কোনওভাবে ভুল করে ঘটে গিয়েছে ৷ রিপোর্টের জন্য নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া হবে জানান তিনি ৷