দাসপুর, 27 ডিসেম্বর: আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টায় উত্তেজনা। দোষীকে গ্রেফতারের বুধবার দাবিতে দফায়-দফায় উত্তেজনা পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানা এলাকায় ৷ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে এদিন পুলিশের ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় ৷ নামানো হয় ব়্যাফ ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ওসি ও এসডিপিও।
ঘটনাক্রমে জানা যায়, 23 ডিসেম্বর অর্থাৎ শনিবার রাতে দাসপুর এলাকায় এক গৃহবধূর স্বামীকে তাঁদের বাড়িতেই এক বন্ধু জোর করে মদ্যপান করায় ৷ এরপর তিনি বেহুঁশ হয়ে গেলে অর্থাৎ ঘুমিয়ে গেলে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই বন্ধু ৷ যদিও ওই মহিলার চিৎকার-চেঁচামিতে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। স্থানীয় মানুষজন ওই যুবককে পাকড়াও করলেও কোনওক্রমে পালিয়ে যায় ওই যুবক। দাসপুর পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবকের খোঁজ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে পালিয়ে যাওয়ার সহযোগিতায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যে।
মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা থাকায় আজ বিকেল নাগাদ আদিবাসী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তের গ্রামে গিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে হাজির হয়। তার বাড়ি চড়াও হতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসা সেখান থেকে বাঁধে ধস্তাধস্তি। উত্তেজনা সামাল দিতে নামানো হয় ব়্যাফ ৷ পুলিশ আটকালে চলে তাঁদের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ঘাটালের পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী ও দাসপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায় ৷
উল্লেখ্য, চলতি মাসের প্রথমদিকে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার রাজপুর-সোনারপুরে এরকমই এক ঘটনা ঘটে ৷ নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে আক্রান্তের পরিবার ৷ জানা গিয়েছিল এক যুবক ফোন নাম্বার চায় যুবতীর। তা না-দেওয়ায় বাড়িতে ঢুকে ওই যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে যুবক ৷ মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন মা-ও ৷
আরও পড়ুন:
- নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ, গৃহশিক্ষককে 21 বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল পকসো আদালত
- নাবালিকা পরিচারিকাকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার 3
- নির্যাতিতা নাবালিকার দেহ উদ্ধার শৌচাগারে, শিলিগুড়ির হোমে চাঞ্চল্য