পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

পরিবারের সংক্রমণের আশঙ্কা, খোলা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে দিনযাপন করোনা আক্রান্তের

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের 10/2 অঞ্চলের ঘোলাই গ্রামে বাড়ি খড়গপুর আইআইটির নিরাপত্তা কর্মী সঞ্জিত ভট্টাচার্যের ৷ গত 12 মে তিনি করোনা আক্রান্ত হন ৷ তারপর থেকে বাড়ির কাছেই খোলা মাঠে ত্রিপল দিয়ে তাঁবু খাটিয়ে রাত্রিযাপন করছেন তিনি ৷

By

Published : May 21, 2021, 5:03 PM IST

তাঁবু খাটিয়ে দিনযাপন করোনা আক্রান্তের
তাঁবু খাটিয়ে দিনযাপন করোনা আক্রান্তের

ডেবরা, 21 মে : তিনি করোনা আক্রান্ত ৷ একই বাড়িতে থাকলে পরিবারের অন্যান্যরাও মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন ৷ এদিকে প্রশাসনের তরফেও করা হয়নি কোনও সাহায্য ৷ অগত্যা বাড়ির কাছেই খোলা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে দিনযাপন করছেন খড়গপুর আইআইটির এক নিরাপত্তা কর্মী ৷

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের 10/2 অঞ্চলের ঘোলাই গ্রামে বাড়ি খড়গপুর আইআইটির নিরাপত্তা কর্মী সঞ্জিত ভট্টাচার্যের ৷ গত 12 মে তিনি করোনা আক্রান্ত হন ৷ তারপর থেকে বাড়ির কাছেই খোলা মাঠে ত্রিপল দিয়ে তাঁবু খাটিয়ে রাত্রিযাপন করছেন তিনি ৷

খড়গপুর আইআইটিতে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করেন সঞ্জিতবাবু । কয়েকদিন ছুটিতে ছিলেন ৷ পুনরায় কাজে যোগ দিতে গেলে তাঁকে করোনা পরীক্ষা করতে হয় ৷ তখনই তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে । তারপর থেকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কথা ভেবে বাড়ির পাশে তাঁবু খাটিয়ে দিন কাটাচ্ছেন । এই তীব্র গরম, ঝড়, বৃষ্টি সব উপেক্ষা করেই তাঁবুতে আছেন ।

‘‘করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর আইসিডিএস স্কুলে থাকার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতকে জানিয়েছিলাম ৷ কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি ৷’’ আক্ষেপ ঝড়ে পড়ে সঞ্জিতবাবুর গলায় ৷ বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা মা ৷ এছাড়া নিজের সন্তানরাও আছেন ৷ তাই সংক্রমণের কথা ভেবে বাড়ি না ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি ৷ যদিও বর্তমানে ডেবরা সেফ হোমে বেড খালি আছে ৷ কিন্তু সেখানে যেতে রাজি হননি সঞ্জিতবাবু ৷

আরও পড়ুন : কাটল না জট, 5 দিন ধরে রাজ্যজুড়ে নারদ-নারদ

ডুঁয়া 10/2 অঞ্চলের উপপ্রধান দুলি হাঁসদা বলেন, ‘‘আমরা সমস্ত রকমের সহযোগিতা করছি । ওঁর যখন পজ়িটিভ ধরা পড়ে, তখন হাসপাতালে বেড ছিল না । আমরা সব সময় খোঁজ খবর নিচ্ছি ।’’ অপরদিকে ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ কর বলেন, ‘‘ডেবরার বিধায়ক তথা মন্ত্রী হুমায়ুন কবীরের উদ্যোগে ওই পরিবারকে ত্রিপল, চাল, ডাল, লুঙ্গি, গামছা, মাস্ক, স্যানিটাইজার দিয়ে এসেছি । আমরা সব সময় নজর রাখছি ৷’’

ABOUT THE AUTHOR

...view details