গোপীবল্লভপুর, 13 জানুয়ারি : মাত্র চার বছরেই রেকর্ড ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের অগ্নিভ পাণ্ডের । যানবাহন, শাকসব্জি, আকৃতি, পশুপাখি, ফল, দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নাম এই বয়সেই গড়গড়িয়ে বলতে পারে সে । তার এই পারদর্শিতার জন্য তাঁকে এই সম্মানে সম্মানিত করেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস ।
অগ্নিভর মা জানাচ্ছেন, বয়স যখন মাত্র এক বছর সেই সময় সেই অগ্নিভ চিনতে পারত কোনটা কী রঙ । বছর চারের অগ্নিভ পাণ্ডে ৷ ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরের বাসিন্দা । ছেলে এই স্বীকৃতি পাওয়ায়, এইভাবে গোপীবল্লভপুরের নাম উজ্জ্বল করায় ভীষণ উচ্ছ্বসিত তার বাবা-মা । অগ্নিভ এই সম্মান পাওয়ার খবরে গর্বিত এলাকাবাসীও ।
আরও পড়ুন : চালক নেই, শববাহী গাড়ি চালিয়ে মৃতদেহ শ্মশানে পৌঁছালেন পৌর প্রশাসক
বর্তমানে কেজি ওয়ানে পড়ে সে । তার বাবা সুমন পান্ডে জানান, "মাত্র এক বছর বয়সেই অগ্নিভ চিনতে পারত 12টি রঙ । তিন বছর বয়সে ভরতি করা হয়েছে স্কুলে ।" যে বয়সে সাধারণত অক্ষরজ্ঞান হয় না, সেই বয়সে এই ছেলে বলে দিতে পারে অনেকগুলি যানবাহন, সবজি, বিভিন্ন আকার, পশু, পতঙ্গ, দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নাম । বলে দিতে পারে ইংরেজি ছড়া, এক থেকে পঞ্চাশ পর্যন্ত সংখ্যা ।
গোপীবল্লভপুরের নাম উজ্জ্বল করেছে এই খুদে অগ্নিভর বাবা সুমন পাণ্ডে জানান, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ ছেলের এই প্রতিভার কথা জানিয়ে মেল করার পরে তারা একটি ফর্ম পাঠায় । সেটা পূরণ করে পাঠানোর পর অগ্নিভর কুড়িটি ভিডিয়ো পাঠাতে বলে । সবকিছু পাঠানোর পর তাঁদের জানানো হয়, ছেলের নাম উঠেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ ।
এই খুদের প্রতিভাকে স্বীকৃতি জানিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এর পক্ষ থেকে একটি সার্টিফিকেট, একটি পেন, একটি ব্যাজ, পদক ও একটি বই দেওয়া হয়েছে । গতকাল অগ্নিভর জন্মদিন ছিল । তার আগেই এই সার্টিফিকেট ও পদক চলে আসায় বাড়তি আনন্দ পাণ্ডে পরিবারে ।
সুমন ও তাঁর স্ত্রী দেবযানী পাণ্ডে চান, এখন নিজের মতো বেড়ে উঠুক অগ্নিভ । বড় মানুষ হওয়ার পাশাপাশিই উজ্জ্বল করুক গোপীবল্লভপুরের নাম ।
আরও পড়ুন : জঙ্গল মহলে পালন টুসু উৎসব