মেদিনীপুর, 3 জানুয়ারি: সুব্রত বক্সির ডাকে যাননি, অবস্থানেও সাড়া মেলেনি, অবশেষে বুধবার মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূলের 10 কাউন্সিলর ৷ তাঁদের দাবি, চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে । তাহলে কি মেদিনীপুর পৌরসভায় দলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চলেছে খোদ শাসকদল ? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে শহর ও জেলাজুড়ে ।
খারাপ আচরণের প্রতিবাদে দলের চেয়ারম্যান সৌমেন খানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা ৷ কিন্তু তাতেও ভালো আচরণ পাওয়া যায়নি চেয়ারম্যানের থেকে । তাই এবার মহকুমাশাসকের সঙ্গে দেখা করলেন ক্ষুব্ধ 10 তৃণমূল কাউন্সিলর ।
প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর পৌরসভার 25টির মধ্যে 20টি ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে । বাকি 5টির মধ্যে তিনটেই বামেরা, একটি কংগ্রেস ও একটি নির্দলের । এই 20টি ওয়ার্ডের মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী 10টি তৃণমূল কাউন্সিলরের মধ্যে একপক্ষ জুন মালিয়া এবং সৌমেন খানের পক্ষ নিয়েছে ৷ আরেকটি গ্রুপে জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার নেতৃত্বে 10 জন কাউন্সিলর আলাদা পক্ষ নিয়েছে । আর এই মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে অবস্থানে বসেছিলেন তৃণমূলের 10 কাউন্সিলর । তাদের অভিযোগ ছিল, চেয়ারম্যান ফান্ডের টাকা দেন না, খারাপ আচরণ করেন, কোনও প্রকল্পের কাজ বা বৈঠকে তাদের ডাকেন না, বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা এলে নিজের মদতপুষ্ট কিছু কাউন্সিলরকে দিয়েই কাজ সেরে ফেলেন । আর তাই এই চেয়ারম্যানের অপসারণ চাই এই দাবিতেই তারা অনড় ছিলেন ।
মেদিনীপুর পৌরসভার এই পরিস্থিতিতে অবশেষে মঙ্গলবার সুব্রত বক্সী কলকাতায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন জেলা সভাপতির গ্রুপ থেকে জেলা সভাপতি এবং শহর সভাপতি তথা কাউন্সিলর বিশ্বনাথ পাণ্ডবকে । কিন্তু সেই ডাকে যায়নি তৃণমূল কংগ্রেসের শহর-সভাপতি তথা কাউন্সিলর বিশ্বনাথ পাণ্ডব । এদিকে এদিন তাঁরা মেদিনীপুর সদর মহকুমাশাসকের কাছে উপস্থিত হন 10 জনকে নিয়ে । যদিও অভিযোগের বিষয়ে তাঁরা স্পষ্ট করেননি কিছুই । ফলে অনাস্থার জল্পনা দেখছে সবাই । এই 10 জন কাউন্সিলররা হলেন লিপি বিষয়ী, মৌ রায়, মৌসুমী হাজরা, বিশ্বনাথ পাণ্ডব, ইন্দ্রজিৎ পানিগ্রাহী, সত্য পড়িয়া, টোটন সাসপিল্লি, মোজ্জামেল হোসেন, গোলক মাঝি ও নম্রতা চৌধুরী । তবে আরেক তৃণমূল কাউন্সিলর আগের বার এলেও এবারে সায় দেননি এই পক্ষের তরফে ।