তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আহত কর্মীর বক্তব্য কেশপুর, 4 জুলাই: কেশপুরে ফের শাসকের গোষ্ঠী কোন্দল । ব্লক যুব সভাপতির অনুগামীদের সঙ্গে সংঘর্ষ ব্লক সভাপতির অনুগামীদের । আর তাতেই আহত জনা দশেক দলীয় কর্মী সমর্থক । যদিও দলীয় স্তরে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া ।
সোমবার সন্ধ্যেবেলায় কেশপুরের শাকপুর এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয় কমপক্ষে 10 থেকে 12 জন । আহতরাও শাসকদলের কর্মী এবং যারা মারধর করেছে তারাও শাসকদলের কর্মী । এদিন বিকেলে স্থানীয় শাকপুর বাজার এলাকায় দোকানে বসে ছিল কেশপুর ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতির অনুগামীরা । অভিযোগ, সেই সময় তাদের লক্ষ্য করে গালাগালি করে ব্লক তৃণমূল সভাপতি অনুগামীরা । এরপরই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু'পক্ষ । চলে ধস্তাধস্তি ৷ এরপর লাঠিসোটা নিয়ে শুরু হয় মারধর। এই ঘটনায় আহত হয়েছে দু'পক্ষের 10 জন মতো । এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর ।
আরও পড়ুন : রাজ্যপাল ফিরতেই বাসন্তীতে গুলি, ফের জখম তৃণমূল কর্মী; অভিযুক্ত বিজেপি
মূলত দীর্ঘদিনের হিংসা এবং আক্রোশের বশে মারধরের এই ঘটনা ঘটেছে । এই ঘটনায় আহতদের প্রথমে কেশপুর হাসপাতাল এবং পরে তার অবস্থার অবনতি হলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয় । এদিন এই আহতদের দেখতে মেদিনীপুর হাসপাতালে ছুটে আসেন তৃণমূলের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব । এই ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল । কেননা ভোট মাত্র আর দিন চারেক পর । তারই মধ্যে নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মুখ পুড়ছে শাসকদলের । যদিও এই ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস তৃণমূল মন্ত্রী ও শীর্ষ নেতৃত্ব মানস ভূঁইয়ার । এই বিষয়ে মানস ভুঁইয়া বলেন, "সিপিএম-বিজেপি, না বিজেপি-তৃণমূল কাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল খতিয়ে দেখব । যদি আমাদের দলের মধ্যে হয় সেটাও দলীয়ভাবে খতিয়ে দেখা হবে । যদি দেখি কোনও প্রশাসনিক ব্যাপার ঘটেছে তাহলে সেই প্রসঙ্গে বলব অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ।"