দুর্গাপুর, 30 জুলাই: আদা, রসুন, কাঁচা লংকা ও টমেটোর দোকান দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি এবং রাহুল গান্ধি ! দুর্গাপুরে এমনই ছবি দেখা গেল ৷ তবে, সেই দোকানে রাহুল গান্ধি বা নরেন্দ্র মোদি নেই ৷ রয়েছে তাঁদের নাম ও স্লোগান ৷ মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দুর্গাপুরের আশিস মার্কেটে যুব কংগ্রেসের তরফে এক অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয় ৷ সেখানেই ‘রাহুল জির মহব্বত কি দুকান’ এবং ‘মোদিজীর আচ্ছে দিন কি দুকান’ খোলা হয়েছে ৷ ‘মোদিজীর আচ্ছে দিন কি দুকান’ থেকে বর্তমান বাজারদরে বিক্রি হচ্ছে জিনিসপত্র ৷ আর ‘রাহুল জির মহব্বত কি দুকান’-এ এর অর্ধেক দামে পাওয়া যাচ্ছে আদা, রসুন, কাঁচা লংকা ও টেমটো ৷
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যেমন আকাশ ছোঁয়া ৷ তেমনি গৃহস্থের রোজকার রান্নায় ব্যবহার হওয়া আদা, রসুন, কাঁচা লংকা ও টেমটোর মতো সবজির দামও ক্রমশ বেড়েই চলেছে ৷ এই মূল্য়বৃদ্ধির বাজারে নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হল দুর্গাপুর যুব কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ সেই সঙ্গে রাহুল গান্ধির সমর্থনেও শুরু হয়েছে প্রচার ৷ আর তাই প্রতিবাদ ও প্রচারে ব্যবহার করা হচ্ছে দুই নেতার স্লোগান ৷ একদিকে রাহুল গান্ধির নামে ‘রাহুল জির মহব্বত কি দুকান’ ৷ আর অন্য়দিকে, নরেন্দ্র মোদির নামে ‘মোদিজীর আচ্ছে দিন কি দুকান’ ৷
‘মোদিজীর আচ্ছে দিন কি দুকান’ থেকে বাজারমূল্যে আদা বিক্রি হচ্ছে 300 টাকা কেজি দরে ৷ রসুন 200 টাকা প্রতি কেজি ৷ অর্থাৎ, বর্তমানে বাজারে গেলে যে দামে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্র বিক্রি করছেন, সেই দামেই মোদির নামাকিংত দোকানে জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে ৷ আর রাহুল গান্ধির দোকান থেকে তার প্রায় অর্ধেক দামে একই জিনিস বিক্রি করা হচ্ছে ৷ স্বাভাবিকভাবেই মানুষ সস্তা জিনিস কেনার জন্যই ভিড় করছেন ‘রাহুল জির মহব্বত কি দুকান’-এ ৷ আর ঠিক সেই সময় ফাঁকা পড়ে রয়েছে ‘মোদিজীর আচ্ছে দিন কি দুকান’ ৷ সেখানে পায়জামা-পাঞ্জাবি ও জওহর কোট পরা দোকানি বসে বসে মাছি মারছেন ৷