আসানসোলে যুবকের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার আসানসোল, 9 জানুয়ারি: অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের দগ্ধ দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল (Youth Burnt Body Recovers in Asansol) ৷ আসানসোল দক্ষিণ থানার অন্তর্গত সেন্ট জোসেফ স্কুলের পিছনে একটি নির্জন স্থানে দেহটি পড়ে ছিল বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ৷ দেহটি এমনভাবে পুড়ে গিয়েছে যে তা শনাক্ত করার উপায় নেই ৷ আসানসোল দক্ষিণ পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷
আসানসোল রেল হাসপাতালের পিছন দিকে ডক্টরস কলোনির কাছে ফাঁকা জায়গায় রীতিমত জঙ্গল তৈরি হয়েছে ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ ওই এলাকায় সন্ধ্যে নামলেই নেশার আসর বসে ৷ সেখানেই আজ সকালে পাঁচিলের ধারে যুবকের দগ্ধ দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ তাঁরাই পুলিশে খবর দেন ৷ কীভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশও ৷ দেহের পাশেই একটি সাইকেল দাঁড় করানো ছিল ৷ অনুমান করা হচ্ছে ওই সাইকেলটি যুবকেরই ৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, তিনি সাইকেল নিয়ে ওই স্থানে নেশা করতেই এসেছিলেন ৷ কিন্তু, সেখানে আগুনে জ্বলে মৃত্যু হয়েছে, নাকি মৃত্যুর পর দেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে না ৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, রাতে হয়তো শীত থেকে বাঁচতে আগুন জ্বালানো হয়েছিল ৷ নেশার ঘোরে কোনওভাবে গায়ে আগুন লেগে যায় ৷ সেভাবেই হয়তো জীবন্ত দগ্ধ হয়েছেন ওই যুবক ৷ অনেকে আবার খুনের পর প্রমাণ লোপাটে দেহ পোড়ানো হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ৷ পুলিশ যদিও বিষয়টিকে নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে এখনও পৌঁছাতে পারেনি ৷ আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ দেহটিকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করার জন্য পাঠিয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন:মানসিক ভারসাম্যহীনের তাণ্ডব, নাপিতের পর প্রাণ গেল ভবঘুরের
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ কারা ওই এলাকায় রোজ বা মাঝেমধ্যেই যান ৷ নেশা করতে কারা যান, সেই নিয়ে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ ৷ সেই সঙ্গে মৃতের পরিচয় জানারও চেষ্টা চলছে ৷ পুলিশের অনুমান মৃত যুবক স্থানীয় বাসিন্দাই ৷ সাইকেলটি তাঁর হলে বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে বেশি দূরে নয় বলে অনুমান পুলিশের ৷ তবে, নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, আসানসোল রেল হাসপাতালের পিছনে সুনশান ওই এলাকা নেশা করার মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে ৷ মাঝেমধ্যেই সেখানে ঝামেলা হয় ৷ পুলিশ এনিয়ে জানানো হয়েছে ৷ তবে, এক বা দু’দিন টহলদারির পর, আবার নেশার আসর বসে সেখানে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে ৷