দুর্গাপুর ,31 মে : রাজ্যে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যাক্রমবর্ধমান ৷ দিন দিন বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও ৷ কিন্তু তাও কোথাও যেন সেই মাত্রায় সচেতনতা নেই মানুষজনের মধ্যে ৷ আজ এমনই ছবি ধরা পড়ল দুর্গাপুরের মিনিবাস কর্মীদের খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে ৷ গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে রইলেন বাস কর্মীরা ৷ একইভাবে খাদ্য সামগ্রীও সংগ্রহ করেন তাঁরা ৷ এনিয়ে কোথাও যেন ক্ষোভ প্রকাশ পেল জিতেন্দ্র তিওয়ারির বক্তব্যে ৷ তিনি বলেন,"অনেকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেন না ৷ কী করা যাবে ৷ কাউকে জেলে ভরে তো আর সামাজিক দূরত্ব আর শেখানো যায় না ৷"
কোরোনা-নিয়ম লাটে ! জেলে ভরে শেখানো যায় না, বললেন মেয়র
আজ দুর্গাপুরের প্রায় 500 জন মিনিবাস কর্মীর মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করল INTTUC ৷ লাইনে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে খাদ্য় সামগ্রী সংগ্রহ করেন মানুষজন ৷ কোথাও সামাজিক দূরত্বের চিহ্নমাত্র ছিল না ৷
লকডাউনে বন্ধ মিনিবাস পরিষেবা । স্বভাবতই রুজি রোজগার নেই বাসকর্মীদের ৷ এই পরিস্থিতিতে তাঁদের পাশে দাঁড়াল INTTUC ৷দুর্গাপুরের প্রায় 500 জন মিনিবাস কর্মীর মধ্যে আজ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন INTTUC নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায় । উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের মেয়র তথা তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারিও । বাস কর্মীদের একাংশের তরফে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের থেকে দেরিতে আসেন অতিথিরা ৷ তার জেরেই দুর্গাপুর বেনাচিতি প্রান্তিকা মিনি বাসস্ট্যান্ডে কর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে । প্রথমের দিকে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো ছবিটা বদলে যায় ৷ ভিড় আর ঠেলাঠেলিতে উধাও হয় সামাজিক দূরত্ব ৷ লাইনে দাঁড়িয়ে গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করেন বাস কর্মীরা৷ উদ্যোক্তাদের তরফে বারবার আবেদন করা হয়েছে ৷ কিন্তু সেই আবেদনে থোড়াই কেয়ার ৷
এনিয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, "জোর করে সামাজিক দূরত্ব পালন করানো যায় না । প্রশাসনের তরফে বারবার প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হচ্ছে ৷সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হচ্ছে ৷ অনেকে মানছেন । কিন্তু অনেকে এখনও সচেতন নন ৷ কাউকে জেলে ভরে তো আর কিছু শেখানো যায় না । আমার অনুরোধ, কোরোনা থেকে বাঁচতে হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন ।