দুর্গাপুর, 12 এপ্রিল: তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটির ঘোষণা করা হয়েছে মঙ্গলবার ৷ দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতির পদ শূন্য ছিল ৷ শীর্ষনেতৃত্বের অনুমোদনের পর পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক ‘ডাকাবুকো’ নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর নাম সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ৷ কিন্তু এখান থেকেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক ৷ অভিযোগ উঠেছে ‘মলয় ঘনিষ্ঠ’ নন এমন নেতারা ব্রাত্য রয়ে গেলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন কমিটিতে ৷
1998 সালে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম লগ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যিনি দুর্গাপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের অভিভাবক হয়েছিলেন ৷ সেই অপূর্ব মুখোপাধ্যায়, তৃণমূলের দীর্ঘদিনের নেতা তথা বর্তমানে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়, প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল, দুর্গাপুর পৌরনিগমের ডেপুটি-মেয়র, বর্তমানে পুরো প্রশাসক মণ্ডলীর ডেপুটি চেয়ারপার্সন অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর পৌরনিগমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মৃগেন্দ্রনাথ পাল, তাঁরা প্রত্যেকেই নতুন জেলা কমিটিতে উপেক্ষিত থেকে গেলেন ৷
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার তাঁর দলের পুরনো কর্মীদেরকে সম্মান জানানোর কথা বলেন ৷ তাঁদের আবারও রাজনীতির মূল ময়দানে ফিরিয়ে আনার বার্তা দিয়েছেন ৷ কিন্তু, তার পরেও জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে থাকা নেতারা কেন ব্রাত্য থেকে গেলেন নতুন জেলা কমিটিতে ? সেই প্রশ্ন উঠছে ৷ সামনেই পঞ্চায়েত ও দুর্গাপুর পৌরনিগম নির্বাচন ৷ এতদিন অপূর্ব মুখোপাধ্যায় দুর্গাপুর পৌরনিগমের মেয়র দায়িত্ব পালন করেছেন ৷ এমনকি দুর্গাপুরের দু’বারের প্রাক্তন বিধায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ৷