দুর্গাপুর, 4 জুলাই : উনিশ শতকে রাঢ়বঙ্গের সাধক কবি নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায় তাঁর গানের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন ৷ সেই গান আজও শোনা যায় কাঁকসা এবং লাউদোহা, ফরিদপুর ব্লকের আনাচে কানাচে । জামবন এলাকায় নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের সংগীত চর্চার গ্রামে আজও মাটির বাড়িতে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছেন নীলকণ্ঠ কীর্তন সমাজের মানুষজন ।
দুর্গাপুরের কাঁকসার জামবনের ক্ষুদ্র গ্রামে ছিল সাধক কবি নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের সংগীত চর্চার জগৎ ৷ এখনও বিভিন্ন স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে সেই গ্রামে ৷ নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে গড়ে ওঠে নীলকণ্ঠ কীর্তন সমাজ ৷ কীর্তন গানের দল হিসাবেই পরিচিত তারা ৷ সাধক কবির সংগীত ধারা অব্যাহত রাখতে গ্রামের খড়ের ঘরে প্রত্যহ রীতিমতো চলে কীর্তনের রেওয়াজ ৷ সারা বছর ধরে কীর্তন গানের অনুষ্ঠান করা হয় ৷ তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আপাতত সেসব বন্ধ ৷
বিভিন্ন ভাবে নীলকণ্ঠ কীর্তন সমাজের পাশে দাঁড়াচ্ছে রাজ্য সরকার ৷ নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে মহাবিদ্যালয় তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ৷ নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের সেই গান-বাজনার ধারা বজায় রাখতে জামবন এলাকায় খড়ের ঘরের মধ্যে কেনারাম গোপ এবং তাঁর কীর্তন সম্প্রদায় সকাল-সন্ধ্যা রেওয়াজে বসেন । পাশাপাশি আরও অনেকেই রেওয়াজ করেন ৷