দুর্গাপুর, ২৩ ফেব্রুয়ারি : এক পুলিশকর্মীর স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল ঘর থেকে। মৃতের নাম তন্দ্রা ঘোষ (৩৯)।
দুর্গাপুরে পুলিশকর্মীর স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, আটক ব্যক্তি
এক পুলিশকর্মীর স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল ঘর থেকে। পুলিশ তন্দ্রা ঘোষের মৃতদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
দুর্গাপুর থানার বেনাচিতি মহিষ্কাপুর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন পুলিশকর্মী সুব্রত ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী তন্দ্রাদেবী। তাঁদের এক সন্তান আছে। সুব্রত ঘোষ আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেন। গতকাল সকালে যে বাড়িতে তাঁরা ভাড়া থাকতেন সেই ঘরে তন্দ্রাদেবীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এক প্রতিবেশী। A জ়োন ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থানে পুলিশ আসে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের DC (পূর্ব) অভিষেক মোদি আসেন ওই বাড়িতে। এরপর পুলিশ তন্দ্রা ঘোষের মৃতদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর তারকেশ্বরে সরকারি সভায় সুব্রত ঘোষ কর্তব্যরত ছিলেন। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে অন্ডাল থানার উখরা থেকে সঞ্জয় মুখার্জি নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সঞ্জয় মুখার্জি উখরায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। প্রশ্ন উঠছে, তন্দ্রা ঘোষের সাথে এই সঞ্জয়বাবুর কী সম্পর্ক ছিল? DCP (পূর্ব) অভিষেক মোদি বলেন,” সঞ্জয় মুখার্জিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কী কারণে আত্মঘাতী তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।" বেনাচিতি এলাকায় দীর্ঘদিন বসবাসরত তন্দ্রা মুখার্জি এলাকার মানুষের সাথে কম মেলামেশা করতেন। তিনি কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়ে হতবাক বাসিন্দারা।।