দুর্গাপুর, 17 জানুয়ারি : তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের বিবাদ ৷ একে অপরের উপর দোষ চাপাল দুই কর্তৃপক্ষ ৷ যা নিয়ে সোমবার দিনভর উত্তপ্ত রইল পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার বামুনাড়া এলাকা ৷ এমনকী এই ঘটনায় হাসপাতালের তিন কর্মীকে আটক করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ ৷
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার জয়পুর থানা এলাকায় মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে মেলা চলছিল ৷ সেখানেই জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে বচসা বাধে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ৷ অভিযোগ বচসা চলাকালীন তৃণমূল নেতা সুকুর শেখের ভাই কবীর আলির উপর হামলা চালায় অন্য গোষ্ঠীর লোকজন ৷ মারধরের কারণে ওই তৃণমূল কর্মীর মাথায় গুরুতর চোট লাগে ৷ পরিবারের লোকজন তাঁকে কাঁকসার বামুনাড়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে । আজ বেলা 12টা নাগাদ মৃত্যু হয় 41 বছরের কবীর আলির ৷ সমস্যার সূত্রপাত তারপরই ৷
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, জোর করে আইসিইউ থেকে ওই তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ তুলে নিয়ে যায় কাঁকসা থানার পুলিশ ৷ বাধা দিতে যান হাসপাতালের কর্মীরা ৷ কিন্তু পুলিশ কোনওরকম কথা না শুনেই দেহ তুলে নিয়ে যায় (tussle between police and hospital over tmc worker death in kanksa) ৷ এমনকী কর্তব্যরত তিন কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছেন ওই বেসরকারি হাসপাতালের সুপার অভিষেক চট্টোপাধ্যায় ৷ মৃতের পরিবারের লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই মৃতদেহ নিয়ে চলে যায় পুলিশ ৷