দুর্গাপুর, 9 অগস্ট: একদিকে ঝাড়গ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে আদিবাসী উন্নয়নের ক্ষতিয়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় ৷ অপরদিকে, এই আদিবাসী দিবসেই শিক্ষক দেরিতে আসায় দীর্ঘক্ষণ স্কুলের বাইরে অপেক্ষায় বসে রইল আদিবাসী পরিবারের ছোট ছোট পড়ুয়ারা ৷ এই ছবি পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার একটি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৷ সেখানে নির্ধারিত সময় 10:40 মিনিটে স্কুল শুরু হওয়ার কথা ৷ কিন্তু সময়ে পড়ুয়ারা এসে বসে থাকলেও স্কুলে দেখা মিলল না শিক্ষক-শিক্ষিকার ৷
আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের সরল মনে স্বীকারোক্তি শিক্ষিক না আসা পর্যন্ত তারা খেলা করে বেরায় ৷ তবে পড়ুয়া চায় শিক্ষকেরা সময় মতো স্কুলে আসুক । শ্রাবন্তী হেমব্রম ও রোহিত হেমব্রমরা বলে, "প্রতিদিন স্যররা দেরিতেই আসেন । আমরা ততক্ষণ স্কুলের ভেতরে খেলা করি । আমরাও চাই তারা সময়ে স্কুলে আসুক । আরও ভালো করে আমাদেরকে পড়াশোনা করাক ।"
জানা গিয়েছে, 1971 সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে কাঁকসার জঙ্গল মহলের আদিবাসী সম্প্রদায় ভুক্ত রক্ষিতপুর গ্রামের নোনাগাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ৷ বর্তমানে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় 50 । স্কুলের চারিদিকে জঙ্গলে ভরা ৷ স্কুলের ভেতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছাগল ৷ তারই মধ্যে শিক্ষকের অপেক্ষায় বসে পড়ুয়ারা ৷ এখন দু'জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন এই স্কুলে ৷ তবে তাঁদের বাড়ির সমস্ত কাজ ও বাজারহাট সেরে স্কুলে আসতে বেজে যায় প্রায় এগারোটা কুড়ি কিংবা তারও বেশি । আর ততক্ষণ আদিবাসী দীন-দরিদ্র পরিবারের এইসব ছাত্রছাত্রীরা লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে খেলা করে বেরায় স্কুল চত্বরে । তাদের উপর নজরদারিরও কেউ নেই ।