আসানসোল, 29 মার্চ: নির্জন জায়গা থেকে উদ্ধার হল এক ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত দেহ ৷ মঙ্গলবার রাতে মৃতদেহটি পাওয়া যায় পশ্চিম বর্ধমানে আসানসোলের হিরাপুরের নিউটাউন এলাকায় ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহটি আদিবাসী ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী ৷ সোমবার সন্ধ্যা থেকে ওই ছাত্রী নিখোঁজ ছিলেন ৷ এরপর মঙ্গলবার রাতে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় ৷ ছাত্রীর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ ওই ছাত্রীর নাম কোয়েল হাঁসদা (22) ৷ তাঁর বাড়ি নিউটাউন সংলগ্ন বিপিএল কলোনি এলাকায় ৷ তিনি আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী ছিলেন ৷ এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলেছেন কোয়েলের লক্ষ্মীনারায়ণ হাঁসদা ৷
তিনি কুলটির মিঠানি হাইস্কুলের শিক্ষক ৷ ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে লক্ষ্মীনারায়ণ হাঁসদা বলেন, "সোমবার সন্ধ্যায় আমি শুয়ে ছিলাম ৷ আমার স্ত্রীও শৌচালয়ে গিয়েছিলেন ৷ সেই সময় আমাদের কাউকে না বলে আমার একমাত্র মেয়ে কোয়েল বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ৷ বাড়িতে ওকে দেখতে না পেয়ে প্রথমে ভেবেছিলাম পাড়ায় কিংবা সামনের বাজারে কোথাও গিয়েছে ৷ কিন্তু রাত পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে না-আসায় আমাদের দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে ৷ ওকে ফোন করে দেখি মেয়ের ফোন সুইচড অফ ৷ এরপর রাতে আমরা স্থানীয় এলাকায় খোঁজাখুঁজি করি ৷ কিন্তু কোথাও পাইনি ৷" তিনি আরও বলেন, "সারারাত আমাদের উৎকণ্ঠার মধ্যে কাটে ৷ মঙ্গলবার সকালে হিরাপুর থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করি ৷ রাতে জানতে পারি পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। আসানসোল জেলা হাসপাতালে এসে মেয়ের মৃতদেহ দেখতে পাই ৷" কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খুঁজে পাচ্ছেন না লক্ষ্মীনারায়ণ বাবু ৷ তাঁর দাবি "আমাদের কোনও শত্রু ছিল না" ৷