দুর্গাপুর, 31 জানুয়ারি:স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য 1 ফেব্রুয়ারি থেকে দুর্গাপুর সেতুতে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে৷ সেচ দপ্তরের জারি করা নোটিশ বলছে, 14 দিন ধরে চলবে স্বাস্থ্যপরীক্ষার কাজ৷
তিন বছরে দু’বার ভেঙেছে দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেট৷ যার জেরে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় দুর্গাপুর ও বাঁকুড়া শহরের মানুষকে৷ টানা কয়েকদিন ধরে বন্ধ থাকে পানীয় জলের সরবরাহ৷ ঘটনায় প্রশ্ন ওঠে সেচ দপ্তরে নজরদারি নিয়ে। দ্বিতীয়বার লকগেট ভাঙার সময় প্রশ্ন ওঠে দামোদরের উপর দুর্গাপুর সেতুর স্বাস্থ্য নিয়েও৷ কারণ, এই সেতুর বয়স প্রায় 65 বছর। এই পরিস্থিতিতে সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেচ দপ্তর।
সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই সেতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর ও বাঁকুড়ার মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে এই সেতু৷ শুধু তাই নয়, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান হয়ে বীরভূম এবং উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে যাতায়াতের অন্যতম সড়কপথ এটি। প্রতিদিন প্রায় হাজার ছয়েক ভারী যান যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। তাই সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা জরুরি হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন:ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই জয়ী সেতুর উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্য়মন্ত্রী
সেচ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, 1 ফেব্রুয়ারি থেকেই সেতুতে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে৷ সেচ দপ্তরের আধিকারিক সঞ্জয় সিং জানান, সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্যই 1 ফেব্রুয়ারি থেকে 13 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সকাল 11টা থেকে বিকেল 5টা পর্যন্ত কিছু কিছু করে গাড়ি ছাড়া হবে। 14 ফেব্রুয়ারি সম্পূর্ণভাবে যান চলাচল বন্ধ থাকবে৷