আসানসোল, 15 এপ্রিল : কয়েক বছর আগেও নববর্ষের (Bengali New Year) প্রাক্কালে ছাপাখানাগুলিতে তৎপরতা থাকত তুঙ্গে । কর্মীরা ব্যস্ত হয়ে পড়তেন বাংলা ক্যালেন্ডার ছাপাতে (Bangla Calendar on Bengali New Year) । আজ নেই সেই ব্যস্ততা । প্রযুক্তি, আধুনিকতা, স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ইন্টারনেটের যুগে ছাপাখানাগুলি যেন বেরঙিন হতে শুরু করেছে, শূন্যতা গ্রাস করেছে । কোথাও বা ফাঁকা ছাপাখানায় একা কোনও কর্মী অল্প কয়েকটি ক্যালেন্ডার নিয়ে একাই সেগুলিতে তারিখ বসাচ্ছেন ।
একটা সময় ছিল যখন নববর্ষের আগে থেকেই উৎসব শুরু হয়ে যেত আসানসোলের ঘাঁটিগলি এলাকায় । ক্যালেন্ডার, পঞ্জিকা, লক্ষ্মীনারায়ণের বিগ্রহ, হালখাতা কেনাকাটার জন্য বিপণী সাজিয়ে বসতেন ব্যবসায়ীরা । বেশ হইচই ব্যাপার । এখন নববর্ষের আগে সেই চেনা উৎসবের চেহারাটা উধাও । পঞ্জিকা অল্প স্বল্প বিক্রি হলেও বাংলা ক্যালেন্ডারের আর তেমন বিক্রি হয় না । আগে নববর্ষের বিকেল থেকে দোকানে দোকানে ঘোরা, মিষ্টির প্যাকেটের সঙ্গে উপহার পাওয়া যেত একটি বাংলা ক্যালেন্ডার । প্রতিটি বাঙালি পরিবারের দেওয়ালেই ঝুলত বাংলা ক্যালেন্ডার । তাতে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের উল্লেখ থাকত । শুভ অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে অমাবস্য পূর্ণিমা ও অনান্য তিথির উল্লেখ থাকত ক্যালেন্ডারে । যা একসময় ছিল বাংলা নববর্ষের সঙ্গে প্রায় সমার্থক, বাঙালিদের জীবন থেকে সেই বাংলা ক্যালেন্ডারই ধীরে ধীরে যেন মুছে যাচ্ছে ।