আসানসোল, 18 জুন: আগাম অশান্তির আঁচ পেয়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি তৃণমূল । রাজনৈতিক চুপিসারে মনোনয়ন প্রক্রিয়া করে ফেলা হয়েছে । কিন্তু দলীয় প্রতীক বন্টনের সময় আসন নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভের কথা বাইরে বেরিয়ে এল । বিষয়টা এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছলো তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেঁধে গেল । জেলা পার্টি অফিস ছেড়ে সেই হাতাহাতি একেবারে রাস্তায় নেমে এল । তড়িঘড়ি পুলিশ পৌঁছে দু'পক্ষকে সরিয়ে না দিলে আরও বড় ঘটনা ঘটত । যদিও এই ঘটনা ইঙ্গিত দিল, ঘরোয়া বিবাদ আরও অনেক বাকি ।
শনিবার রাতে আসানসোলের রাহা লেনে তৃণমূলের জেলা দলীয় অফিসে প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক বন্টন করা হচ্ছিল । উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, নেতা অভিজিৎ ঘটক থেকে শুরু করে আরও অন্যান্যরা । আর সেখানেই অশান্তির সূত্রপাত হয় রানিগঞ্জের জেমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন নিয়ে । রানিগঞ্জ গ্রামীণের ব্লক সভাপতি দেবনারায়ণ দাস এবং তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংয়ের মধ্যে বিবাদ বাঁধে । যতগুলি পঞ্চায়েতের প্রার্থী চাওয়া হয়েছিল ততগুলি আসন না পাওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয় । আর যার ফলে বচসা শুরু হয়ে যায় দু'পক্ষের মধ্যে । দুই পক্ষের প্রথমে উত্তেজনাময় কথাবার্তা চালাচালি এবং পরে তা হাতাহাতিতে পৌঁছে যায় দলীয় নেতাদের সামনেই ।
শুধু তাই নয় সেই হাতাহাতি দলীয় অফিস ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে । দু'পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় মাঝরাস্তায় । দলীয় অফিস থেকে কিছুটা দূরেই আসানসোল দক্ষিণ থানা । খবর পেয়ে দক্ষিণ থানা থেকে পুলিশবাহিনী এসে দু'পক্ষকে থামায় এবং দুই পক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হয় । এমনকি দেখা যায় জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে দলীয় অফিস থেকে বেরিয়ে এসে দু'পক্ষকে সরিয়ে দিতে ।