দুর্গাপুর, 3 অগাস্ট : এবার "দিদিকে বলো" কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাই ৷ তাঁদের কথায়, অভিযোগ জানানোর পর যদি ঘরে হামলা হয়, তাহলে কী করব ? আমাদের নিরাপত্তা কোথায় ? দিদি কি পরিস্থিতি সামাল দেবেন ?
গতকাল দুর্গাপুর জেলা তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে INTTUC-র পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ও তাঁর ঘনিষ্ঠ 4 নম্বর বোরো কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর ব্যানার্জির বিরুদ্ধে চুরি, অর্থের বিনিময়ে কর্মী নিয়োগ একাধিক অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান টোটন দাস ও নুরুল হোতা নামে দু'জন তৃণমূল কর্মী ৷ সেখানেই উঠে আসে তৃণমূল নেতাদের একাধিক গাফিলতি ৷ তাঁদের অভিযোগ, এরা সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা ।
এই বিষয়ে লেবারহাটের টোটন দাস বলেন, "2007 সাল থেকে আমি TMC করছি । প্রথমে আমরা বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের সঙ্গেই ছিলাম । পরে তিনি কংগ্রেসে চলে যান ৷ আমাদের যাওয়ার কথা বলেছিলেন ৷ কিন্তু আমি TMC ছেড়ে যাইনি৷ তিনবছর আগে বিশ্বনাথ যখন ফের TMC-তে ফিরলেন, তখন আমার বাবাকে ইন্ডিয়ান ওয়েল বটলিং প্ল্যান্টের চাকরি থেকে বের করে দিলেন । 2007 সালে দিদি যখন বাঁকুড়া এসেছিলেন, আমি তাঁর সঙ্গে বাঁকুড়ায় মুড়ি খেয়েছিলাম । রাতের অন্ধকারে CPI(M)-র ভয়কে উপেক্ষা করে দেওয়াল লিখেছি । আর আজ আমার মা এই বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর ব্যানার্জির বাড়িতে ঝি-এর কাজ করে । আমার বাবা বাড়িতে বসে আছে । এরা সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা ।"