আসানসোল, 14 ডিসেম্বর: সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন লালন শেখের মৃত্যুর (Lalan Sheikh Death in CBI Custody) ঘটনায় এবার রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ৷ তাঁর বক্তব্য, গরুপাচার-সহ বিভিন্ন ঘটনায় সিবিআই তদন্তকে কোণঠাসা করতেই ইচ্ছাকৃতভাবে এ নিয়ে জলঘোলা করাচ্ছে রাজ্যের সরকার ও শাসকদল ৷ এমনকী, এর জন্য সটান তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) দায়ী করেছেন শুভেন্দু ৷
বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে (Asansol) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু ৷ সেখানে তিনি জানান, এর আগেও রোজভ্য়ালি-সহ বিভিন্ন মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে ৷ ফলে আদালতের নির্দেশে সেইসব মামলার শুনানি এবং তদন্তের কাজ রাজ্যের বাইরে গিয়ে করতে হয়েছে ৷
আরও পড়ুন:সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়, লালনের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
শুভেন্দুর স্পষ্ট ইঙ্গিত, আদালতের নির্দেশে সিবিআই বগটুই গণহত্য়া-সহ বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত করছে ৷ সত্য়িটা সামনে চলে এলে আরও বিপাকে পড়বে শাসকদল ৷ এই অবস্থায় লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গিয়েছে ৷ এবার সেটাকেই হাতিয়ার করার চেষ্টা করছে তারা ৷ শুভেন্দুর অভিযোগ, লালন শেখের মৃত্যুর পর সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসের বাইরে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল, যাতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয়বাহিনী আত্মরক্ষার খাতিরে কোনও চূড়ান্ত পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয় ৷ আর তাহলেই তাদের আরও ব্যাকফুটে ফেলা যেত !
শুভেন্দুর আরও দাবি, এই সবকিছুর পিছনেই নাকি রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ যদিও তাঁর নাম মুখে আনেননি বিরোধী দলনেতা ৷ তাঁর কথায়, "আমি খুব খুশি হয়েছি যে আদালত এই মামলায় লালন শেখের স্ত্রীকে পার্টি করেছে ৷ কারণ, তাঁর নামে যে অভিযোগপত্র লেখা হয়েছে, সেটি আদতে তৃণমূলের দুই নেতা লিখেছেন ৷ তাঁদের ওই অভিযোগপত্র লেখার নির্দেশ দিয়েছেন ববি ৷ আর ববিকে নির্দেশ দিয়েছেন পিসি ৷"
প্রসঙ্গত, লালন শেখের মৃত্যুর পর সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাতে সুশান্ত ভট্টাচার্যেরও নাম রয়েছে ৷ এই সুশান্ত ভট্টাচার্যের সঙ্গে বগটুই কাণ্ডের তদন্তের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু ৷ তাঁর প্রশ্ন, গরুপাচার কাণ্ডের মূল তদন্তকারী ওই আধিকারিকের নাম এই এফআইআর-এ কেন লেখা হল ? তাহলে কি গরুপাচার-সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত মামলার সিবিআই তদন্ত স্তব্ধ করে দিতেই এমনটা করা হয়েছে ? শুভেন্দু নিজে অন্তত তেমনটাই মনে করেন ৷