দুর্গাপুর, ১ এপ্রিল: কোরোনার সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার যখন বারবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিচ্ছে, তখন পাণ্ডবেশ্বর থেকে পানাগড়, সর্বত্র দেখা গেল উলটো চিত্র । এমনকী সরকারি নির্দেশিকা উড়িয়ে জমায়েতে নাম জড়াল স্থানীয় বিধায়কেরও । পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির গবাদি পশুর জন্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি ৷ মুখ থুবড়ে পড়ল সামাজিক দূরত্বের সরকারি নির্দেশনামা । অন্যদিকে, পানাগড়ে রেশন দোকানে খাদ্য সামগ্রী গণবন্টনেও দেখা গেল চূড়ান্ত অব্যবস্থা ।
সামাজিক দূরত্ব শিকেয়, বিধায়কের দানের লাইনে হুড়োহুড়ি - সামাজিক দূরত্ব শিকেয়,
পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির গবাদি পশুর জন্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণে মুখ থুবড়ে পড়ল সামাজিক দূরত্বের সরকারি নির্দেশনামা ।
কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা রোগ প্রতিরোধের প্রধানতম উপায়, বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা । অন্যদিকে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে । এরপরেও বহু মানুষের হুঁশ ফিরছে না ৷ তাঁরা ঘরে থেকে নিতান্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কাজটুকুও করে উঠতে পারছেন না ! তারই উদাহরণ দেখা গেল পান্ডবেশ্বরে । স্থানীয় বিধায়ক তথা আসানসোলের মেয়র জীতেন্দ্র তিওয়ারি আজ গবাদি পশুদের জন্য খাটাল মালিকদের হাতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছিলেন । আর সেখানেই দেখা গেল খাটালের লোকেদের বেজায় ভিড় । কোরো মুখে মাস্ক নেই । এমনকী অনুদান পাওয়ার অতিরিক্ত আগ্রহে তাঁরা প্রায় একে অপরের গায়ের উপরে দাঁড়িয়ে ছিলেন । স্থানীয় বিধায়কের ভাষণ শুনতেও দেখা গেল নিয়মহীন ভিড় ।
অন্যদিকে, আজ পানাগড় বাজারে রাজ্যের অন্য জেলাগুলির মতোই রেশন দোকানে গণবন্টন শুরু হয় । সেখানে চাল, ডাল, আটা নিতে মানুষের বিরাট লাইন পড়ে । লাইনে সরকার নির্দেশিত দূরত্ব বজায় রাখার নামগন্ধও ছিল না । পরে অবশ্য কাঁকসা থানার পুলিশ এসে ভিড় কিছুটা সামাল দেয় ।