দুর্গাপুর, 25 ফেব্রুয়ারি: সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বিরোধীদের বরাবরের অভিযোগ, নির্বাচনের সময় বিহার, ঝাড়খণ্ড ও বীরভূম জেলার দুষ্কৃতীরা এসে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিশেষ করে খনি অঞ্চলের নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ বহু নেশাদ্রব্য পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম জেলার সীমানা পাণ্ডবেশ্বরের অজয় নদীর সেতু দিয়ে পারাপার করে। এর আগে দুর্গাপুর থেকে একজনকে অপহরণ করে এই সীমানাবর্তী এলাকা দিয়েই বীরভূম নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশি তৎপরতায় সে যাত্রায় সেই অপহরণের ঘটনায রুখে দেওয়া হয়। তাই এবার বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার সীমানাবর্তী অজয় নদীর সেতুর আগে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের (Asansol–Durgapur Police Commissionerate) উদ্যোগে বসানো হল স্ক্যানার ক্যামেরা (ANPR) ৷
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে তাদের যে 16টি থানা রয়েছে, সেই থানা এলাকায় জেলার সীমানাবর্তী এলাকাগুলিতে এই ধরনের ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। ক্যামেরাগুলিতে কোনও গাড়ি পাঁচ থেকে একশো কুড়ি কিলোমিটার ঘণ্টায় গতিবেগে যাতায়াত করলেও সেই গাড়ির নম্বর প্লেট এই ক্যামেরাতে ধরা পড়বে। অর্থাৎ, দুই জেলায় কেউ কোনও অপরাধমূলক কাজ করে যদি এই রাস্তা দিয়ে পারাপার করে তাহলে তাঁর গাড়ির নম্বর প্লেট এই স্ক্যানার ক্যামেরায় ধরা থাকবে। ফলত সহজেই চিহ্নিত করা যাবে অপরাধীকে।