দুর্গাপুর, 14 এপ্রিল : তিনি বিদায়ী সাংসদ। এবারও তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে প্রার্থী করেছে। কিন্তু, প্রার্থীর নাম নিয়ে শুরু হয়েছে সংশয়। দেওয়াল লিখনে কোথাও রয়েছে মমতাজ সংঘমিতা। কোথাও বা মমতাজ সংঘমিত্রা। "গত 5 বছর ধরে শুনে শুনে হয়রান হয়ে যাচ্ছি।" বেজার মুখে বলছেন খোদ প্রার্থীই।
5 বছর আগে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। জিতেও ছিলেন। এবারও তাঁর উপরই আস্থা রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু, গোল বেধেছে প্রচার শুরু হতেই। পোস্টার, ব্যানার, দেওয়াল লিখন, সর্বত্রই রয়েছে দু'রকম নাম। কোথাও মমতাজ সংঘমিত্রা, তো কোথাও মমতাজ সংঘমিতা। দুর্গাপুর পৌরসভার 32 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয়ের বাইরেই রয়েছে প্রার্থীর বড় ব্যানার। সেখানেও দোটানা।
তবে ভুল ধরিয়ে দিলেন খোদ প্রার্থীই। বলেন, "গত পাঁচ বছর ধরে এই প্রশ্ন শুনতে শুনতে হয়রান হয়ে যাচ্ছি। এই ভুল করাটা মানুষের একটা অভ্যেসে পরিণত হয়েছে। অন্য একটি গন্ডগোলও রয়েছে। আমার স্বামীর পদবি যেহেতু চৌধুরি, তাই আমার নামের পাশেও চৌধুরি বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কর্মীদের বেশি বললে তাঁরা বলে, দিদি এইটুকুই তো ভুল হয়েছে।"
ভিডিয়োয় শুনুন মমতাজ সংঘমিতার বক্তব্য প্রথমে ক্ষুব্ধ হলেও, পরে অবশ্য দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়ালেন প্রার্থী। বলেন, "দুটি নামের তেমন কোনও প্রভেদ নেই। সম্রাট অশোকের কন্যার নামেই আমার নাম রাখা হয়েছে সংঘমিতা। সংঘমিত্রা নামটি পালি ভাষায় অপভ্রংশ হয়ে সংঘমিতা। তাই ভুল কিছু নেই। তবে অফিশিয়াল ক্ষেত্রে যেহেতু মমতাজ সংঘমিতা। তাই ওই নামটাই সকলের ব্যবহার করা উচিত।"